পাবনায় নৌকার সমর্থকদের হামলায় একজন নিহত, লাশ নিয়ে মিছিল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পাবনা
প্রকাশিত: ০৯:৫৯ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০২১

অডিও শুনুন

পাবনার আটঘরিয়ার দেবোত্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় বিদ্রোহী প্রার্থীর এক সমর্থকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সেলিম হোসেন (৩৬) নামের ওই সমর্থক শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এর আগে দুপুরে দেবোত্তর ইউনিয়নের রায়পুর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সন্ধ্যায় নিহত সেলিমের মরদেহ নিয়ে দেবোত্তর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেন এলাকাবাসী।

নিহত সেলিম হোসেন উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের জমসেদ আলীর ছেলে।

jagonews24

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুরে উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের শ্রীকান্তপুর গ্রামের স্বতন্ত্র প্রার্থী কে এম শাহীন (আনারস) কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রায়পুর গ্রামে গণসংযোগে যান। সেখানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু হামিদ মোহাম্মদ মোহাইমিনুল হোসেন চঞ্চলের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে সেলিম হোসেন আহত হন। তাকে আহতাবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কে এম শাহীন, শ্রীকান্তপুর গ্রামের ইউপি মেম্বার আব্দুল আওয়াল, সাবেক ইউপি মেম্বার সাইফুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন, কামাল উদ্দিন ও আসাদুল ইসলাম।

এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী কে এম শাহীন বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলায় চালালে সেলিম হোসেন আহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এদিকে সেলিমের মৃত্যুর খবরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যায় বিক্ষুব্ধরা সেলিমের মরদেহ নিয়ে মিছিল করেন এবং হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করেন।

jagonews24

বিক্ষোভ মিছিল শেষে দেবোত্তর বাজার চৌরাস্থা মোড়ে মরদেহ রেখে প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন স্থানীয়রা। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও) মাকসুদা আক্তার মাসু ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

হামলার ব্যাপারে জানতে নৌকার প্রার্থী আবু হামিদ মোহাম্মদ মোহাইমিনুল হোসেন চঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।

আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমিন ইসলাম জুয়েল/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।