বাঁচতে চান কোটালীপাড়ার ধীমান

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৭:৩৩ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২১

ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের মার্কেটিং বিভাগের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র ছিলেন ইমন রায় ধীমান। তবে বন্ধ হয়ে গেছে তার লেখাপড়া। ব্রেন টিউমারের আক্রান্ত হয়ে এই টগবগে যুবক এখন মৃত্যু পথযাত্রী।

ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ধীমান গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়নের কলাবাড়ী গ্রামের পূর্বপাড়ার জয়দেব রায়ের ছেলে। সামান্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাবা দুই বছর ধরে ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব।।

২০১২ সালে কোটালীপাড়ার বিনয় কৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল ইলেকট্রিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৪.৬০ পান ধীমান। পরে বাণিজ্য বিভাগে ভর্তি হন কাজী মন্টু ডিগ্রি কলেজে। ২০১৪ সালে এইচএসসি পাস করেন জিপিএ-৪.৪৮ পেয়ে।

দরিদ্র পরিবারের সন্তান ধীমান এক বুক স্বপ্ন নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে ভর্তি হন মার্কেটিং বিভাগে। প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। ভালোই চলছিল শিক্ষাজীবন।

তৃতীয় বর্ষে উঠতেই স্বপ্ন যেন ধূলিসাৎ হয়ে যায় ধীমানের। হঠাৎ প্রচণ্ড মাথাব্যথা শুরু হয়। তীব্র যন্ত্রণায় লেখাপড়া করতে পারতেন না। মাথাব্যথার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় কলেজ ছেড়ে বাড়িতে চলে আসে ২০১৮ সালে।

বাঁচতে চান কোটালীপাড়ার ধীমান

মাস ছয়েক আগে ধীমান লক্ষ্য করেন তিনি ডান চোখে ঝাপসা দেখেন আর বাম কানে কম শোনেন। মাথাব্যথা আগের তুলনায় বেড়ে যায়। প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে ঢাকায় আসেন চিকিৎসা করাতে। এমআরআই ও সিটিস্ক্যান করে চিকিৎসকরা দেখতে পান ধীমানের মাথায় বাসা বেঁধেছে মরণঘাতী ব্রেন টিউমার, যা অনেক বড় হয়ে উঠেছে।

দ্রুত অস্ত্রোপচার না করালে যেকোনো সময় জীবনপ্রদীপ নিভে যেতে পারে ধীমানের। তার দূর সম্পর্কের এক মামা থাকেন ভারতে। তিনি জানতে পেরে পরামর্শ দেন ভারতে গিয়ে অস্ত্রোপচার করানোর। এজন্য প্রয়োজন প্রায় ৮ লাখ টাকা।

ভারতে যাওয়ার জন্য এরই মধ্যে পাসপোর্টও করা হয়েছে। তবে টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে ধীমানের। বৃদ্ধ বাবা প্রধানমন্ত্রীসহ সবার কাছে ছেলের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন।

মেহেদী হাসান/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।