নৌকার স্লোগান: দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৬

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পাবনা
প্রকাশিত: ০৯:০১ এএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০২১

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীর হামলায় নৌকা প্রার্থীর ভাইসহ ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে ওই বিদ্রোহী প্রার্থীর দাবি নৌকার স্লোগান দিয়ে তার ক্লাব ভাঙচুর করা হলে তাদের প্রতিহত করতে গিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে একদন্ত বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহতরা হলেন- আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও একদন্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মহসিন আলী মোল্লার চাচাত ভাই এএসআই (অব.) রফিকুল ইসলাম ভাষানী, রকিবুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, মো. মাসুম, মিলন ও রিপন ডাক্তার। আহতরা পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মহসিন আলী জানান, নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই একদন্ত ইউনিয়নে এক বিদ্রোহী প্রার্থী তার সমর্থকদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন। এ বিষয়ে তিনি আটঘরিয়া থানার ওসি, আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. জলিল মাস্টারসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন।

মহসিন আলী আরো জানান, বুধবার রাতে তিনি নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে শিবপুর যাওয়ার পথে একদন্ত বাজারে বিদ্রোহী ওই প্রার্থীর লোকজন বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আমার চাচাত ভাই এএসআই (অব.) রফিকুল ইসলাম ভাসানীসহ ৬ জন গুরুতর আহত হন।

এ বিষয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩৪নং কার্যকরী সদস্য মো. লিয়াকত হোসেন আলাল সর্দার বলেন, নৌকার সমর্থকেরা আমার ক্লাবের সামনে এসে নৌকার স্লোগান দেয়। এ সময় তাদের করা ভাঙচুর প্রতিহত করতে আমার সমর্থকরা বাধা দেন। এ ঘটনায় তারও ৩ জন সমর্থক আহত হয়েছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী লিয়াকত হোসেন আলাল আরো বলেন, নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা তার অফিসে হামলা করে, তার সমর্থকেরা সেটা প্রতিহত করেছে মাত্র।

এ বিষয়ে আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

আমিন ইসলাম জুয়েল/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।