কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যা: আরও দুই আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলসহ দুজনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার সোহেল (২৮) ও সায়মনকে (৩০) পাঁচ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চন্দন কান্তি নাথের আদালতে দুই আসামির ১০ দিন করে রিমান্ড চাইলে বিচারক তাদের প্রত্যেককে পাঁচদিন করে রিমান্ড দেন।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পালপাড়া ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে জেল সোহেল ও বাংলাবাজার এলাকা থেকে সায়মনকে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত তাদের প্রত্যেককে পাঁচদিন করে রিমান্ড দেন।
সোহেল ওরফে জেল সোহেল (২৮) নগরীর নবগ্রাম এলাকার শাহ আলমের ছেলে। তিনি এ মামলার ২ নম্বর আসামী। অন্যদিকে সায়মন (৩০) একই এলাকার মৃত সামছুল হকের ছেলে। তিনি এ মামলার ১০ নম্বর আসামি।
এর আগে ২২ নভেম্বর (সোমবার) বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া এলাকার নিজ কার্যালয়ে বসেছিলেন কাউন্সিলর সোহেল। এসময় মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে তিনিসহ অন্তত পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা মারা যান।
ঘটনার পরদিন রাত সোয়া ১২টার দিকে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলমসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করা হয়।
জাহিদ পাটোয়ারী/আরএইচ/এএসএম