কাউন্সিলর সোহেল হত্যা: ডিবি কার্যালয়ে কাউন্সিলর বাবুল
কুমিল্লায় কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেলসহ দুইজনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর নবগ্রাম এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে কার্যালয়ে নিয়ে যান। বিকেল ৪টায় এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত তিনি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে রয়েছেন।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) ফারুক আহমেদ জানান, কাউন্সিলর সোহেল হত্যার তদন্তের স্বার্থে কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন বাবুলকে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে এখনো কথা বলছি।
তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আছে কী-না জানাতে চাইলে পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, এখনো কথাবার্তা বলছি। এ বিষয়ে পরে আপনাদের জানানো হবে।
কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন বাবুলের ছোট ভাই জুয়েল জানান, সকাল ৯টায় ডিবি পুলিশের কয়েকজন এসে আমার ভাইকে তুলে গিয়ে গেছে। তবে কী কারণে তাকে নিয়ে গেছে তা আমাদের জানানো হয়নি। বর্তমানে আমরা ডিবি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছি।
এদিকে সোমবার বিকেলে কাউন্সিলর হত্যা মামলার চার আসামিকে কুমিল্লা জেলা চিফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারিক চন্দন কান্তি নাথের আদালতের তোলা হলে আশিকুর রহমান রকি, মো. আলম, মো. জিসান ও মো. মাসুমকে পাঁচদিন করে রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
এর আগে ২২ নভেম্বর (সোমবার) বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া এলাকার নিজ কার্যালয়ে বসেছিলেন কাউন্সিলর সোহেল। এসময় মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে তিনিসহ অন্তত পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা মারা যান।
ঘটনার পরদিন রাত সোয়া ১২টার দিকে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলমসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত পাঁচজন ও সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন প্রধান আসামি শাহ আলম, সাব্বির হোসেন ও মো. সাজন।
জাহিদ পাটোয়ারী/আরএইচ/জিকেএস