বি.বাড়িয়ায় বর্জনে শেষ হলো ভোট, চলছে গণনা
বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা ছাড়াই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে দুপুরে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট কারচুপিসহ অনিয়মের অভিযোগে বিএনপির প্রার্থী ও দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেন।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে আখাউড়া পৌরসভায় একযোগে ১১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এখন চলছে ভোট গণনা।
পৌষের কনকনে শীত উপেক্ষা করে সকাল ৮টার আগেই আখাউড়া রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়ান ভোটাররা। কেন্দ্রটিতে নারী ভোটারদের সংখ্যাই ছিল বেশি। একই চিত্র দেখা যায়, শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজে। সেখানেও ভোটারদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোটারদের উপস্থিতি ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন ভোটাররা। কয়েকজন ভোটার জাগো নিউজকে বলেন, দীর্ঘ ৮ বছর পর নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। তাই আমরা সব কাজ ফেলে ভোট দিতে এসেছি। শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট দিয়েছি, কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি।
তবে দুপুরে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাকজিল খলিফা কাজলের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপি ও কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়াসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাজী মো. মন্তাজ মিয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান বাবুল, অ্যাডভোকেট সোহেল ভূইয়া, সালাহউদ্দিন এইচ সুমন।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাজী মন্তাজ মিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন ব্যাপক ভোটকারচুপি করছে। তারা বেশ কয়েকটি কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তাই আমি স্বেচ্ছায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।
বিএনপি প্রার্থীদের মতো একই অভিযোগ করেন বাকি দুই স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীরাও। এদিকে নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্র ও এর আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া নির্বাচনী মাঠে ছিলো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও স্ট্রাইকিং ফোর্স।
আজিজুল আলম সঞ্চয়/এসআইএস/পিআর