কোটালীপাড়ায় নৌকা পেলেন গতবারের বিদ্রোহী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ১০:০২ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০২১

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কুশলা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে গতবারের বিদ্রোহী প্রার্থী সুলতান মাহামুদ চৌধুরী কালু পেয়েছেন নৌকা প্রতীক। এনিয়ে কোটালীপাড়া উপজেলাজুড়ে আলোচনা চলছে।

সুলতান মাহামুদ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী কামরুল ইসলাম বাদলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হন। ওই নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বাদল ১০ হাজার ২০৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীক নিয়ে এক হাজার ৪২২ ভোট পেয়ে ব্যাপক ব্যবধানে পরাজিত হন। তবে তখন তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কুশলা ইউপির একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, কোটালীপাড়া প্রধানমন্ত্রীর নিজ নির্বাচনী এলাকা। এখানে নৌকার প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করে আসছেন। এবারও তার কোনো ব্যত্যয় হবে না।

তারা আরও বলেন, গত নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে সুলতান মাহামুদ চৌধুরী কালু বিপুল ভোটে পরাজিত হন। কুশলা ইউনিয়নে নৌকার যোগ্য ও জনপ্রিয় প্রার্থীর অভাব নেই। বিদ্রোহীকে এখানে নৌকার প্রার্থী করায় ইউনিয়নজুড়ে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

জানতে চাইলে সুলতান মাহামুদ চৌধুরী কালু বলেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে আমি কুশলা ইউনিয়নের জনগণের প্রার্থী হয়েছিলাম। তবে বিদ্রোহী হইনি। তখন আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলাম। এখনও আমি আওয়ামী লীগের ওই একই পদেই রয়েছি।

গত নির্বাচনে তিনি পরাজিত হননি বলেও মন্তব্য করেন নৌকা প্রতীক পাওয়া এ প্রার্থী। তিনি বলেন, আমি নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে দিয়েছিলাম। এ কারণে আমাকে এবারের নির্বাচনে নৌকা দেওয়া হয়েছে।

কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, সুলতান মাহামুদ চৌধুরী কালু বিদ্রোহী হওয়ার সব কাগজপত্র আমরা কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলাম। দলের কেন্দ্রীয় নমিনেশন বোর্ড থেকেই কোটালীপাড়ার সব ইউনিয়নে নৌকার নমিনেশন দেওয়া হয়েছে। নমিনেশনের ব্যাপারে আমাদের কোনো হাত নেই।

মেহেদী হাসান/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।