সমান ভোট পেলো দুই প্রার্থী, একজনকে বিজয়ী ঘোষণা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ময়মনসিংহ
প্রকাশিত: ০৯:৫২ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০২১

দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় মেম্বার পদে দুই প্রার্থী সমান ভোট পেলেও একজনকে বিজয়ী ঘোষণার অভিযোগ উঠেছে।

১২ নভেম্বর সকালে জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ছিল ১৭ নম্বর সরাতীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই নির্বাচনে মোরগ প্রতীক নিয়ে মো. খলিলুর রহমান ও তালা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মো. আব্দুল মান্নান।

ওই দিন সন্ধ্যায় ভোটগ্রহণ শেষে গণনা করে দুই প্রার্থীই সমান ৬৪২ ভোট করে পেয়েছেন বলে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্তব্যরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাসুদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত শিটে জানানো হয়।

পরে মধ্যরাতে উপজেলা নির্বাচন কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেসমিন নাহারও দুই প্রার্থীর ভোট সমান হওয়ার কথা বলে পুনরায় এ ওয়ার্ডে নির্বাচন দেওয়ার ঘোষণা দেন।

কিন্তু পরদিন ১২ নভেম্বর সকালে তালা প্রতীকে নির্বাচন করা মান্নানকে ৬৪২ ভোট দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। অন্যদিকে মোরগ প্রতীকের খলিলুর রহমানকে ৬৩৯ ভোট দেখিয়ে পরাজিত ঘোষণা করেন।

এ নিয়ে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী মো. খলিলুর রহমান বলেন, দুজনের ভোট সমান হওয়ার পর নতুন করে নির্বাচন করার ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে আর্থিক সুবিধা নিয়ে রাতারাতি রেজাল্ট পরিবর্তন করা হয়। আমি এ রেজাল্ট মানি না। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল জাগো নিউজকে বলেন, কীভাবে রেজাল্ট পরিবর্তন হয়েছে বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা এ বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা জেসমিন নাহার জাগো নিউজকে বলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম কেন্দ্রে একটি রেজাল্ট দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু আমাকে তিনি বিষয়টি জানাননি। পথে রাজনৈতিক চাপে পড়ে তিনি ফলাফল পরিবর্তন করে আমার হাতে একটি শিট তুলে দেন। পরে সেই রেজাল্ট শিট অনুযায়ী আমি ফলাফল ঘোষণা করি। পরদিন সকালে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে রাজনৈতিক চাপে পড়ে রেজাল্ট শিট পরিবর্তনের বিষয়টি জানান তিনি।

জেসমিন নাহার আরও বলেন, পরাজিত প্রার্থী যদি মামলা বা আপিল করেন, তাহলে বিষয়টি নির্বাচন অফিস দেখবে। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে বারবার চেষ্টা করেও প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মঞ্জুরুল ইসলাম/এসজে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।