মনোনয়নপত্র কিনতে গিয়ে জানতে পারলেন তারা অন্য ওয়ার্ডের ভোটার
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নে ইউপি মেম্বার পদে প্রার্থী হতে চান আশরাফ আলী ও আলতাব হোসেন। তবে তারা আদৌ মনোনয়ন পাবেন কি-না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। কেননা এ দুই মনোনয়নপ্রত্যাশীর নাম তাদের ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় নেই। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর পৃথক দুইটি লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে এলাকাজুড়ে আলোচনা হচ্ছে।
উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বিছনদই গ্রামের মৃত আনা উল্লাহর ছেলে আশরাফ আলী। তার ভোটার ক্রমিক নম্বর ৬৮। অপরদিকে একই ওয়ার্ডের ছোলেমান গনির ছেলে আলতাব হোসেন। তার যার ভোটার ক্রমিক নম্বর ১০৭। জন্মসূত্রে তিনি ৬ নম্বর ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা ও ভোটার। আগামী ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে ওই ওয়ার্ডের সম্ভাব্য সদস্য (মেম্বার) প্রার্থী হিসেবে দুজনই গণসংযোগ করে আসছেন। তবে মনোনয়ন কিনতে গিয়ে দেখেন ভোটার তালিকায় তাদের নাম নেই।
জানা গেছে, আশরাফ আলীর ভোট ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পার্শ্ববর্তী ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এবং আলতাব হোসেনের ভোট ২ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। সে কারণে এ দুই সম্ভাব্য প্রার্থী নির্বাচন করতে পারছেন না।
ইউপি মেম্বার পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী আশরাফ আলী বলেন, প্রতিহিংসার কারণে ইউপি সদস্য আক্তারুজ্জামান স্বপন ও চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েদ আমার অজান্তে ভোট স্থানান্তর করেছে যাতে আমি নির্বাচন করতে না পারি। এ বিষয়ে ন্যায়বিচার পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।
অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী আলতাব হোসেন বলেন, আমি ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার। যখন প্রথম ভোটার হয়েছি তখন থেকে এ ওয়ার্ডে ভোট দিয়ে আসছি। এবারে আমি ভোট করবো গ্রামবাসী সবাই জানে। ভোটে আমার জয় নিশ্চিত জেনে কে বা কারা ষড়যন্ত্র করে আমার ভোট ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ২ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানান্তর করেছে যাতে আমি প্রার্থী হতে না পারি। আমি এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডাউয়াবাড়ী ইউপি সদস্য (মেম্বার) আক্তারুজ্জামান স্বপন বলেন, ‘তাদের ভোট কে স্থানান্তর করেছে তা আমি কিভাবে জানবো?’
ডাউয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম কায়েদ বলেন, ‘আমার জানামতে তাদের বসতবাড়ি ও ভোট ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। হয়তো কেউ আমার সই জাল করে প্রত্যায়ন দিয়ে আশরাফ ও আলতাবসহ একাধিক ব্যক্তির ভোট নিজ ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তর করেছে।’
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাজমুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে অফিসের সহকারী আব্দুল খালেক বলেন, ‘স্যার অফিসে নেই, ট্রেনিংয়ে গেছেন।’
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টি জেনেছি। তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রবিউল হাসান/এসআর/জিকেএস