রাঙামাটিতে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীর ওপর হামলা


প্রকাশিত: ০৮:৪৬ এএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫

রাঙামাটি পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী রবিউল আলম রবির ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে শেষ মুহূর্তের প্রচারণাকালে শহরের আসামবস্তির নারকেল বাগানে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় বুধবারের এ পৌরসভার সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সন্ত্রাসী হামলার শিকার মেয়র প্রার্থী রবিউল আলম রবি। তিনি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাঙামাটিতে সেনা মোতায়েনের দাবি জানান। এ ঘটনার পর সুষ্ঠু ভোট নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ।

রবিউল আলম বলেন, রাত প্রায় সাড়ে ৯টার দিকে ওই এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে ৫-৬ জনের একদল দুর্বৃত্ত হঠাৎ তার গণসংযোগে গতিরোধ করে তার ওপর অতর্কিত হামলার চেষ্টা চালায়। কিন্তু তার কর্মীদের প্রতিরোধের মুখে অন্ধকারে গা ঢাকা দেয় দুর্বৃত্তরা। কিছুক্ষণ পরই তাকে লক্ষ্য করে অদৃশ্য জায়গা থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এতে পায়ে, বুকে ও পিঠে আঘাতপ্রাপ্ত হন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, সেখান থেকে তাৎক্ষণিক তাকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেছেন রবিউল আলম রবি।

কোতোয়ালি থানা পুলিশেরর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার ব্যাপারে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে।

এছাড়াও রিটানিং অফিসারের কাছে ঘটনাটির ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান মেয়র প্রার্থী রবিউল আলম রবি। তিনি নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান।

এদিকে ঘটনার পর মঙ্গলবার সকালে আহত মেয়র প্রার্থী রবিউল আলমকে দেখতে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল গেছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দীপংকর তালুকদার, আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী আকবর হোসেন চৌধুরী ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ডা. গঙ্গা মানিক চাকমা।

মেয়র প্রার্থী রবিউল আলম রবির ওপর হামলার অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার রিটানিং অফিসার মো. মোস্তফা জামান বলেন, সুষ্ঠু ভোট গ্রহণে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কেউ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চালালে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। ইতোমধ্যে গোটা শহরে র্যাব, বিজিবি, পুলিশসহ অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।   

উল্লেখ্য, এ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে সর্বশেষ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন মোট পাঁচ প্রার্থী। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের আকবর হোসেন চৌধুরী (নৌকা), বিএনপির সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ভূট্টো (ধানের শীষ), বিএনপির বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী রবিউল আলম রবি (কম্পিউটার), জাতীয় পার্টির শিব প্রসাদ মিশ্র ও জেএসএস সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. গঙ্গা মানিক চাকমা।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী অপর দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব (জগ) ও অমর কুমার দে (মোবাইল ফোন) দলীয় প্রার্থী আকবর হোসেন চৌধুরীর সমর্থনে নির্বাচন থেকে সরে গেছেন।

সুশীল প্রসাদ চাকমা/এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।