মা ও সৎ ভাইকে ঘরবন্দি করে আগুন দেওয়ার অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ১২:১৬ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০২১

গাইবান্ধা পৌর শহরে মা ও সৎ ভাইকে ঘরবন্দি করে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছেলে অনিক মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামনি বেগম ও তার তিন বছরের ছেলে প্রাণে বেঁচে গেলেও পুড়ে গেছে ঘরের টিভি ও ফ্রিজসহ লাখ টাকার আসবাবপত্র।

বুধবার (১৮ নভেম্বর) রাতে গাইবান্ধা পৌর শহরের খানকাহ শরীফ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত অনিক মিয়া (২০) মামনি বেগমের আগের স্বামী আবদুর রশিদ প্রধানের ছেলে। অনিক তার বাবা আবদুর রশিদ প্রধানের সঙ্গে গাইবান্ধা পৌর শহরের কুটিপাড়া এলাকার বাড়িতে বসবাস করে আসছেন।

মামনি বেগমের অভিযোগ, অনিকসহ তিন ছেলে রেখে ২০১৬ সাল থেকে জিয়াউর রহমানকে বিয়ে করে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন তিনি। বর্তমানে তার তিন বছরের আরেকটি ছেলে সন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রথম স্বামীর ছেলে অনিক তার কাছে টাকা দাবিসহ নানা কারণে অত্যাচার করে আসছিলেন। বুধবার সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ বাসায় এসে তাকে গালিগালাজ করতে থাকেন অনিক। এক পর্যায়ে ঘরে আগুন দিয়ে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে পালিয়ে যান। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দরজা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে।

তিনি বলেন, টাকা দেইনি। তাই আমাকে আর দুধের সন্তানকে সে হত্যা করতে চেয়েছিল।

মামনি বেগমের বর্তমান স্বামী জিয়াউর রহমানের অভিযোগ, সম্প্রতি চুরির মামলায় জেল থেকে ছাড়া পায় অনিক। তিন-চার দিন আগে রাতের বেলায় ভাড়া বাসায় এসে তাকেসহ স্ত্রী মামনিকে হত্যার হুমকি দেয়। সেদিন থেকে ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।

তিনি বলেন, অনিকের দেয়া আগুনে আমার স্ত্রী-সন্তান প্রাণে বেঁচে গেছে। কিন্তু ঘর ও ঘরের সবকিছু পুড়ে গেছে।

এ বিষয়ে বাড়ির মালিক আমিনুল ইসলাম জানান, হঠাৎ তিনতলা বাসার নিচের টিনসেড ভাড়া ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে আগুনের ঘটনা ঘটেছে।

গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মালামাল পুড়েছে। তবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।

তবে আগুনের বিষয়টি জানা নেই বলে জানান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান। তিনি জানান, এ ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জাহিদ খন্দকার/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।