নৌকায় ভোট দেওয়ায় ‘একঘরে’ ৭ পরিবার
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিজ গ্রামের প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ায় সাত পরিবারকে একঘরে করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দোয়ারাবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তিভোগী পরিবার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত দোহালিয়া ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুর মিয়ার নির্দেশে গ্রাম-পঞ্চায়েত সাত পরিবারকে একঘরে করে রাখার সিদ্ধান্ত দেয়। শনিবার দিনগত রাতে দোহালিয়া ইউনিয়নের রাজনপুর গ্রামের ছমির উদ্দিনের আয়োজনে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন বলেন, নির্বাচনে গ্রামের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে নৌকায় ভোট দেওয়ায় আমাদের একঘরে করে রাখা হয়েছে। আমাদের সঙ্গে কেউ কথা বললে তাদের পাঁচশ টাকা জরিমানা করবেন গ্রাম-পঞ্চায়েতের মোড়লরা।
ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন বলেন, গ্রামের প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ায় আমাদের সঙ্গে এলাকার সবার কথা বলা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তে আমরা হতাশ। এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।
বৈঠকে উপস্থিত থাকা রাজনপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিন বলেন, গ্রাম-পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত ঠিক আছে। তাদের সঙ্গে কথা বললে পাঁচশ টাকা জরিমানা করা হবে।
তবে একঘরে করে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করে ছমির উদ্দিন বলেন, একঘরে করে রাখার বিষয়টি সঠিক নয়। তাদের সঙ্গে কেউ যেনো ঝগড়াঝাটি না করে এজন্য বৈঠক করে সবাইকে সতর্ক করেছি।
ঘটনার সত্যতা জানতে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুর মিয়াকে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, একঘরে করে রাখার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লিপসন আহমেদ/ইউএইচ/জেআইএম