৬ দিন ধরে নিখোঁজ দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর এনজিওকর্মী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজবাড়ী
প্রকাশিত: ০৭:৫৮ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০২১

ছয়দিন ধরে নিখোঁজ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর বাসিন্দা লিলি বেগম (৩৮)। এ ঘটনায় তার ভাগনে শফি ইসলাম গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

নিখোঁজ লিলি বেগম যৌনপল্লীর নারী ও শিশুদের অধিকার ও উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা সংগঠন মুক্তি মহিলা সমিতির (এমএমএস) কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি।

জিডি সূত্রে জানা গেছে, লিলি বেগম গত ১০ নভেম্বর দুপুরে তার কথিত স্বামী দৌলতদিয়ার শামসু মাস্টারপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল লতিফের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। ওইদিন বিকেলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় বাড়ির ভাড়াটিয়ারা তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু ফোন বন্ধ থাকায় তারা বিষয়টি লিলির আত্মীয়-স্বজনদের জানান। স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নেন। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। ১২ নভেম্বর ভাগনে শফি ইসলাম গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি জিডি করেন।

লিলি বেগমকে উদ্ধারে সহযোগিতা চেয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় প্রশাসন বরাবর সোমবার (১৫ নভেম্বর) লিখিত অভিযোগ দেন মুক্তি মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক মর্জিনা বেগম।

লিলি বেগমের কথিত স্বামী লতিফ শেখ বলেন, লিলি বেগমের সঙ্গে তার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তিনি ওইদিন তার বাড়িতে খেতে আসেন। খাবার শেষে চলে যেতে চাইলে তার ছেলেকে দিয়ে রিকশায় উঠিয়ে দেন। এরপর থেকে লিলির সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি।

মুক্তি মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক মর্জিনা বেগম বলেন, লিলি বেগম অত্যন্ত ভালোমনের একজন মানুষ। তিনি পল্লীর অসহায় নারী ও শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। তার এভাবে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তিনি চিন্তিত। তাকে উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, নিখোঁজ লিলি বেগমের সন্ধানে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। মোবাইল ফোনের কললিস্ট বের করাসহ বিভিন্ন টেকনোলজি ব্যবহার করা হচ্ছে। ঘটনায় যাদের নাম আসছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বিভিন্ন থানায় নিখোঁজের ছবিসহ বার্তা পাঠানো হয়েছে।

রুবেলুর রহমান/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।