কিশোরীকে যৌনকর্মে বাধ্য করার অভিযোগে বাবা-মাসহ ৩ জনের নামে মামলা
বরিশালে কিশোরী মেয়েকে যৌনকর্মে বাধ্য করার অভিযোগে বাবা-মাসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৪ নভেম্বর) বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মাসুম বিল্লাহ এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরীর বাবা-মা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। ওই দম্পতির বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। মাদকসহ তারা দুজনই একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হয়েছেন। তবে করোনার কারণে তাদের ব্যবসা কিছুটা মন্দা যাচ্ছিল। ওই সময় কিশোরীর মা বিভিন্ন ছেলেদের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে তাকে দিয়ে কল করাতেন। একপর্যায়ে কিশোরীকে দিয়ে প্রেমের ফাঁদ পেতে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিতেন। গত কয়েকমাস ধরে কিশোরীকে দিয়ে যৌনকর্ম করিয়ে টাকা উপার্জন করার চেষ্টা করেন বাবা-মা। এ কাজ করতে না চাইলে তাকে মারধর করা হতো।
গত জুন মাসে মা কিশোরীকে এক ব্যবসায়ীর বাসায় নিয়ে যান। তার সঙ্গে কিশোরীকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত তাকে অন্তত ১২৫ বার শারীরিক ও যৌন নির্যাতন করেন ওই ব্যবসায়ী।
সর্বশেষ অক্টোবরের শেষের দিকে ওই ব্যবসায়ী কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা করেন। বিষয়টি কিশোরী তার বড় বোনকে জানায়। পরে তাকে বাসায় আটকে রাখে কিশোরীর বাবা-মা। শনিবার বিকেলে বাসা থেকে পালিয়ে ওই কিশোরী বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে হাজির হয়। পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খানের সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত জানায়। তার নির্দেশে রাতেই অভিযান চালিয়ে কিশোরীর বাবা-মাসহ তিনজনকে আটক করা হয়।
রোববার (১৪ নভেম্বর) সকালে কিশোরীর বড় বোন বাদী হয়ে বাবা-মা ও ব্যবসায়ীর হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
কোতোয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. লোকমান হোসেন জানান, ওই কিশোরীকে পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। সে শারীরিকভাবে দুর্বল ও মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সাইফ আমীন/আরএইচ/জিকেএস