কারাগারে থেকেও চেয়ারম্যান হলেন বিএনপি নেতা
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ১ নম্বর আমানউল্যাপুর ইউনিয়নে বিএনপি নেতা মো. বাহারুল আলম সুমন কারগারে থেকেও চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ওই ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি।
সুমন ২১৫ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল হুদা। নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ মনোনীত আরিফুর রহমান মাহমুদ হয়েছেন চতুর্থ।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রাহাত তানভীর চৌধুরী বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, আমানউল্যাপুর ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে মো. বাহারুল আলম সুমন তিন হাজার ১০৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল হুদা পেয়েছেন দুই হাজার ৮৯১ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নুর রহমান এক হাজার ৮৯৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় এবং নৌকার প্রার্থী আরিফুর রহমান মাহমুদ এক হাজার ৭০৫ ভোট পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৫ দিন আগে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে সাম্প্রদায়িক হামলার মামলায় গ্রেফতার হন বিএনপি নেতা বাহারুল আলম। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে অনুসারীরা তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যান। এরপর আদালতে জামিনের আবেদন করা হলেও আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ১৩২টি কেন্দ্রে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ১৪ ইউনিয়নের মধ্যে ১২টি ইউনিয়নে ব্যালট পেপার এবং বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন ও নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
চেয়ারম্যান পদে ১৪টি ইউনিয়নে ৬৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং সদস্য (মেম্বার) পদে ৪৯০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ছয়জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আটজন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/এমএস