মসজিদের দানবাক্সে মিললো ১২ বস্তা টাকা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ
প্রকাশিত: ১১:০৫ এএম, ০৬ নভেম্বর ২০২১

মসজিদের দানবাক্সে কোটি টাকা, স্বর্ণালঙ্কার আর বিদেশি মুদ্রা! দেশের কোনো মসজিদের দানবাক্সে এত বেশি পরিমাণ টাকা পাওয়ার নজির না থাকলেও কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদ একেবারেই ব্যতিক্রম। এবারও মাত্র তিন মাসে মসজিদের দানবাক্স খুলে পাওয়া গেছে ১২ বস্তা টাকাসহ বিদেশি মুদ্রা ও সোনাদানা।

শনিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৯টায় মসজিদের বিভিন্ন স্থানে রাখা ৮টি বড় লোহার দানবাক্স খোলা হয়। বড় বড় লোহার সিন্দুক খুলে বের করে আনা হয় বস্তা বস্তা টাকা।

jagonews24

পরে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে টাকা বের করে ১২টি প্লাস্টিকের বস্তায় ভরা হয়। এগুলো দ্বিতীয় তলার মেঝেতে নিয়ে ঢালা হয়। শুরু হয় গণনা।

স্থানীয় একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মসজিদ ক্যাম্পাস মাদরাসার শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন গণনার কাজে।

jagonews24

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গোলাম মোস্তফা জানান, সারাদিন গণনা শেষে বিকেল নাগাদ টাকার পরিমাণ জানা যাবে।

পাগলা মসজিদে দান করলে মনের ইচ্ছে পূরণ হয়, এমন বিশ্বাসে মুসলমান ছাড়াও অন্যান্য ধর্মের লোকজন এখানে দান করেন। নগদ টাকা ছাড়াও পাওয়া যায়, চাল, ডাল, গবাদিপশু আর হাঁস-মুরগি। এসব পণ্য নিলামে বিক্রি করে জমা করা হয় মসজিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।

jagonews24

মসজিদের আয় থেকে নিজস্ব খরচ মিটিয়েও জেলার বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসা এতিমখানাসহ গরিব ছাত্রদের মাঝে ব্যয় করা হয়।

জনশ্রুতি রয়েছে, ৫০ বছর আগে পাগলবেশী এক সাধু পুরুষ নরসুন্দা নদীর মাঝখানে পানিতে মাদুর পেতে আশ্রয় নেন। তার মৃত্যুর পর সমাধির পাশে এই মসজিদটি গড়ে ওঠে। সেই থেকে পাগলা মসজিদ নামে পরিচিত এই মসজিদটি।

নূর মোহাম্মদ/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।