আ’লীগ প্রার্থীর ২ নারী সমর্থককে মারধর, নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ০৪:৩৯ পিএম, ০৩ নভেম্বর ২০২১

শরীয়তপুর সদরের আংগারিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সমর্থিত দুই নারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে ককটেল বিস্ফোরণ ও নৌকা প্রার্থীর দুটি ক্যাম্প ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে।

এসব ঘটনায় বুধবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসমা আক্তার পালং মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

আহত নারীরা হলেন- সাহিনুর আক্তার (৪৫) দক্ষিণ ভাষান চর গ্রামের রাজ্জাক সরদারের স্ত্রী ও নুরুননেছা বেগম (৫৫) একই গ্রামের শাহজাহান সরদারের স্ত্রী। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

আহত সাহিনুর ও নুরুননেছা বলেন, আমরা নৌকার প্রার্থী আসমা আক্তারের দল করি। তাই
আনোয়ার হোসেন হাওলাদার নিজে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আমাদের আহত করেছে। আমরা এ হামলার বিচার চাই।

দক্ষিণ ভাসানচর এলাকার নুরী সরদার ও জব্বার মোড়লসহ অনেকেই বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার হোসেন পাঁচ শতাধিক লোকজন নিয়ে এসে ককটেল ফাটিয়ে এলাকার নৌকা মার্কার ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এছাড়া স্থানীয় সাধারণ ভোটারদের হুমকিও দেন।

jagonews24

আওয়ামী লীগের (নৌকা) প্রার্থী আসমা আক্তার বলেন, দক্ষিণ ভাষান চর এলাকায় নৌকার ভোট চাইতে গেলে বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার হাওলাদার পরাজয় নিশ্চিত জেনে সে আমার দুটি নির্বাচনী ক্যাম্পে থাকা চেয়ার টেবিল, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরসহ ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। আনোয়ার হোসেন নিজে আমার সমর্থক সাহিনুর ও নুরুননেছাকে পিটিয়ে আহত করেছে। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার সমর্থক ও ভোটার নুরী সরদার ও জব্বার মোড়লের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করেছ। এসব বিষয়ে আমি থানায় অভিযোগ করেছি।

এদিকে বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, দক্ষিণ ভাসানচর এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আসমার সমর্থকরা নিজেরাই ক্যাম্প ভাঙচুর করেছে। এখন উল্টো আমাকেসহ আমার কর্মী-সমর্থকদের নামে মামলার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা কোনো ধরনের বিস্ফোরণ ঘটাইনি।

শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, আসমা আক্তার থানায় এসে একটি অভিযোগ করে গেছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১১ নভেম্বর শরীয়তপুর সদর উপজেলার ৯টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে চেয়ারম্যান ৩০ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য ৮৬ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৭৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সদরের আংগারিয়া ইউপিতে আওয়ামী লীগের (নৌকা প্রতীক) মনোনয়ন পেয়েছেন আসমা আক্তার। আর বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস প্রতীক) হয়ে নির্বাচন করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় আনোয়ারকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।

মো. ছগির হোসেন/এসজে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।