ইয়াবা পাচার মামলায় পাঁচ রোহিঙ্গার ১০ বছর করে কারাদণ্ড
কক্সবাজারে ইয়াবা পাচার মামলায় পাঁচ রোহিঙ্গার প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ফরিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-নুরুল ইসলাম, রশিদ আহমদ, বায়তুল্লাহ, আবুল হোসেন ও সিরাজুল ইসলাম। তারা সবাই টেকনাফের লেদা অস্থায়ী শরণার্থী ক্যাম্পের আশ্রিত নিবন্ধিত রোহিঙ্গা এবং মিয়ানমারের মংডুর নাগরিক।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রোর একটি টিম টেকনাফের হ্নীলা বাস স্টেশনের জামাল মার্কেটের তৃতীয় তলায় ডায়মন্ড আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে পাঁচ রোহিঙ্গা ইয়াবা কারবারিকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক এসএম শামসুল কবির বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে পলাতক। তাদের গ্রেফতারের পর সাজা কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাজা শেষে আসামিদের মিয়ানমারে পুশব্যাক করতে এবং রায়ের কপি কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ও ক্যাম্প ইনচার্জের কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।
সায়ীদ আলমগীর/এসআর/জেআইএম