বরিশালে তুচ্ছ ঘটনায় জেলেকে পিটিয়ে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বরিশাল
প্রকাশিত: ০৩:০৬ পিএম, ০৩ নভেম্বর ২০২১
প্রতীকী ছবি

বরিশালের হিজলা উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় জব্বার মোল্লা (৪৫) নামে এক জেলে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে পারভিন বেগম নামে এক নারীকে আটক করেছে।

বুধবার (০৩ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

নিহত জব্বার মোল্লা ওই গ্রামের মৃত সিডু মোল্লার ছেলে। মেঘনা নদীতে মাছ ধরে তিনি সংসার চালাতেন। হামলাকারীদের বাড়িও একই এলাকায়।

নিহত জব্বার মোল্লার স্বজনরা জানান, সোমবার ভোরে মেঘনা নদীতে মাছ ধরে বাড়ি ফেরার পথে জব্বার মোল্লা দেখতে পান একই গ্রামের রাকিব বালী রাস্তার পাশে প্রাকৃতিক কর্ম সারছেন। এতে জব্বার মোল্লা ক্ষিপ্ত হয়ে রাকিব বালীকে গালাগাল করেন। রাকিবও গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে জব্বার মোল্লা ও রাকিবের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে রাকিব বাড়ি ফিরে তার স্বজনদের বিষয়টি জানান।

ওই ঘটনার জের ধরে আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে রাকিব ও তার দুই মামা শহীদ সরদার, ইব্রাহিম সরদার, রাকিবের মা পারভিন বেগম ও নানি জয়নব বেগম লাঠিসোটা নিয়ে জব্বার মোল্লাকে বাড়ির সামনে একা পেয়ে হামলা চালান। জব্বার মোল্লাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। একপর্যায়ে জব্বার মোল্লা জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার দুই মেয়ে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। এ সময় জব্বার মোল্লার দুই মেয়েকেও মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয়।

পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। এ সময় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জব্বার মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুস মিয়া জানান, তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে তিনি ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে অভিযুক্ত পারভিন বেগমকে আটক করেন। তবে পুলিশ আসার খবর পেয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত রাকিব বালী, শহীদ সরদার ও ইব্রাহিম সরদার। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সাইফ আমীন/এফএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।