আসছে শীত, বাড়ছে লেপের কদর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ০৯:৫০ এএম, ০২ নভেম্বর ২০২১

এসেছে শীতের আগমনীবার্তা। দেশের মধ্যাঞ্চল ফরিদপুরে লেপ-তোষকের কারিগরদের ব্যস্ততাও বেড়েছে। পাশাপাশি ব্যাবসায়ীরাও দোকান সাজিয়ে বিক্রি শুরু করেছেন শীতের গরম কাপড়।

গত সপ্তাহ থেকেই এ জেলায় শীত অনুভূত হচ্ছে। ভোরবেলায় কুয়াশায় ঢেকে যায় সবুজ মাঠ ও গাছপালা। পৌষ ও মাঘ মাস পুরো শীতকাল। শীত মোকাবিলায় পদ্মা ও মধুমতির চরাঞ্চল এবং পল্লী গ্রামের মানুষ আগেভাগেই লেপ-তোষক জোগাড় শুরু করেছেন।

এছাড়া শীতকালের উপহার বালিশ, লেপ, তোষক মেয়ে-জামাইয়ের বাড়িতে পাঠানো যেন এ অঞ্চলের মানুষের পুরনো রেওয়াজ। তাই শীতকে সামনে রেখে লেপ, তোষক কারিগরদের এখন যেন দম ফেলার ফুরসত নেই।

সালথা উপজেলা সদরের বাসিন্দা বিধান চন্দ্র মন্ডল জাগো নিউজকে বলেন, কেউ পুরনো লেপ ভেঙে নতুন করে বানিয়ে নিচ্ছেন। কেউ নতুন তুলার তৈরি লেপ, তোষক ও বালিশ অর্ডার দিচ্ছেন। আবার অনেকে রাস্তার পাশে ফুটপাতে শীতের জ্যাকেট ও গরম কাপড় বিক্রি করছেন।

ফরিদপুর শহরের চকবাজার এলাকার লেপ তোষকের কারিগর মো. মালেক মিয়া জানান, সারা বছরের মধ্যে তারা প্রায় ৬ মাস অন্য কাজ করেন। আর শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের কদর বেড়ে যায়।

আসছে শীত, বাড়ছে লেপের কদর

এ সময়টায় তারা বিভিন্ন লেপ-তোষকের দোকানে গিয়ে প্রতিদিন ৬শ থেকে ৭শ টাকায় লেপ-তোষক তৈরি করে থাকেন। অনেক কারিগর লেপ প্রতি ২শ থেকে ৩শ টাকাও নেন।

শহরের আরেক লেপ-তোষকের দোকান মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শীত জেঁকে না বসলেও অনেকে আগেভাগেই লেপ-তোষক বানাতে শুরু করে দিয়েছেন। অন্যবারের তুলনায় এ বছর ক্রেতার সংখ্যা অনেকটাই বেশি।

বোয়ালমারী পৌর সদরের ব্যবসায়ী মো. মতিন মোল্লা জাগো নিউজকে বলেন, পুরো বছরের চেয়ে শীতের এ তিন মাস বেচাকেনা একটু বেশিই হয়। তাই ক্রেতাদের কথা ভেবে জিনিসপত্রের গুণগতমান বজায় রেখে অর্ডারি কাজের পাশাপাশি রেডিমেড জিনিসও তৈরি করে বিক্রি করছেন।

এ সময় ক্রেতা নিপা সাহা নামের এক গৃহবধূ জানান, শীতে মোটা কাঁথা-কম্বল যাই বলেন না কেন, লেপ ছাড়া শীতের মজা জমে না।

আসছে শীত, বাড়ছে লেপের কদর

এদিকে গ্রামেও লেপ-তোষকের ফেরিওয়ালার হাঁক-ডাক বেড়েছে। এসব মৌসুমি ফেরিওয়ালারা শীত এলে রিকশাভ্যানে করে লেপ-তোষক বিক্রিতে নেমে পড়েন।

জেলা শহর ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এবার লেপ-তোষক তৈরির মূল উপাদান কার্পাস তুলা ১৩০-১৫০ টাকা, বোমা তুলা ১১০-১২০ টাকা, চাদর তুলা ৮০-৯০ টাকা এবং গার্মেন্টস তুলা ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে ফরিদপুর আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সুরুজল আমিন জানান, ফরিদপুর জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলায় শেষ রাতে শীত পড়ে। সকালে কুয়াশা পড়ে। শিশির বিন্দুতে সকালে ক্ষেত খামারের ফসল ও দুর্বা ঘাসের উপর শিশির কণা জমে। বেশ কিছু দিন হলো দিনে গরম হলেও মধ্যরাত ও ভোর রাতে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে।

এন কে বি নয়ন/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।