সৌদি আরবে ছুরিকাঘাতে নিহত হালিমের বাড়িতে শোকের মাতম
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের বাথাহ এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত ব্যাংক কর্মকর্তা আবদুল হালিম পাঠানের কুমিল্লার মুরাদনগরের ছালিয়াকান্দি গ্রামের বাড়ি চলছে শোকের মাতম। নিহত হালিম মুরাদনগর উপজেলার ছালিয়াকান্দি গ্রামের মৃত রেনু মিয়ার ছেলে এবং আল রাজী ব্যাংক রিয়াদ শাখার কর্মকর্তা।
নিহত হালিমের বন্ধুরা মোবাইল ফোনে বুধবার রাত ১১টার দিকে বাংলাদেশে তার পরিবারকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি অবহিত করেন। নিহতের স্বজনরা অবিলম্বে সরকারিভাবে তার মরদেহ দেশে ফেরৎ আনাসহ সৌদি সরকারের কাছে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
রিয়াদে নিহত হালিমের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উদ্ধৃতি দিয়ে তার বড় ভাই ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম জাগো নিউজকে জানান, গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রিয়াদের বাথাহ এলাকার জামাল কমার্শিয়াল মার্কেটের একটি মোবাইলের দোকানে প্রবেশ করে ছিনতাইকারীরা দোকানের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এসময় হাতাহাতির একপর্যায়ে ওই দোকানে অবস্থানরত আব্দুল হালিম পাঠান ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
নিহত হালিম রিয়াদের আল রাজী ব্যাংকে চাকরি করতেন। ঘটনার কিছুক্ষণ আগে তিনি তার বন্ধুর ওই মোবাইলের দোকানে আসার পর ছিনতাইকারীদের হামলার শিকার হন। এসময় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে জসিম উদ্দীন, নজরুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন ও মোতালেব হোসেন নামে আরো চার বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে জসিম উদ্দীনের অবস্থা গুরুতর।
তাদের সিমোসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত জসিম উদ্দীনের বাড়ি ফেনী, নজরুলের বাড়ি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায়, ইকবালের বাড়ি ঢাকায়, মোতালেবের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বলে জানা গেছে।
নিহত হালিমের স্ত্রী ছবি আক্তার জাগো নিউজকে জানান, তার আবদুল্লাহ আল সামির নামের এক ছেলে এবং সুমাইয়া আফরিন সামিয়া নামের এক মেয়ে রয়েছে। প্রায় ১০ বছর আগে তিনি সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। কুমিল্লা মহানগরীর ২য় মুরাদপুর এলাকায় সন্তানদের নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন নিহত হালিমের স্ত্রী ছবি আক্তার। হালিমের অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর খবরে স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মো. কামাল উদ্দিন/এমজেড/এমএস