সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস গ্রেফতার
দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ও সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা এএইচএম ফুয়াদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাতে রাজধানী ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) জামাল পাশা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এএইচএম ফুয়াদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, হত্যাসহ মোট আট মামলার মধ্যে সাতটি মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। তিনি দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে হাতুড়ি বাহিনী, হেলমেট বাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী গঠন করে চাঁদাবাজি, বিভিন্ন এলাকার হাট-বাজার ইজারা নিয়ন্ত্রণ, জমি দখল, টেন্ডার বাণিজ্য করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
এতে আরও বলা হয়, ২০১৫ সালের ১৫ জুন শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছোটন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ হত্যা মামলার আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলীমুজ্জামান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অত্মগোপনে থাকা ফুয়াদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুটি মানি লন্ডারিং মামলা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়ি ভাঙচুর মামলায় চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ডজনখানেক মামলা রয়েছে।
ফুয়াদ সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস ছাড়াও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ছিলেন। ২০২০ সালের ৭ জুন ফরিদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযান শুরু হলে তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। তাকে গ্রেফতারের জন্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বারবার অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অবশেষে মঙ্গলবার তিনি গ্রেফতার হন।
এন কে বি নয়ন/আরএইচ/এসআর/এমএস/এএসএম