ব্রিজ আছে, নেই সংযোগ সড়ক

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)
প্রকাশিত: ১১:২৫ এএম, ১৩ অক্টোবর ২০২১

চারপাশে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। মাঝখানে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে একটি ব্রিজ। ব্রিজের দুই পাশে সরু সড়ক থাকলে নেই সংযোগ সড়ক। নির্মাণের চার বছর পরও সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের গজারিয়া ইউনিয়নের মানিকদি এলাকায় ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ১০৬ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় ব্রিজটি। চার বছর আগে ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে ব্রিজের ওপর দিয়ে কোনো ধরনের যান চলাচল করতে পারে না। এমনকি নারী, শিশু, বৃদ্ধরা এ ব্রিজের ওপর দিয়ে না গিয়ে পাশে জমি দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করেন।

মানিকদি গ্রামের বাসিন্দা বাছির মিয়ার অভিযোগ করেন, ব্রিজটি নির্মাণ করলেও জনগণের কোনো উপকারে আসছে না। অবিলম্বে সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে মানুষের চলাচল উপযোগী করার আহ্বান জানান।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মানিকদি, পাড়াতলা, তাঁতালচরসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষসহ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। সেতুর কাছেই কালী নদী। নদীর পাড় সংলগ্ন শত শত কৃষকের ফসল এ রাস্তা দিয়ে ঘরে তুলতে হয়।

kishor

ওই এলাকার ফজর আলী নামের স্থানীয় এক কৃষক বলেন, সেতুর সঙ্গে কোনো রাস্তা না থাকায় জমি থেকে ধান কেটে বাড়ি নেওয়া যায় না। অতিরিক্ত শ্রমিক দিয়ে মাথায় করে বাড়িতে আনতে হয় ফসল।

স্থানীয় আলফাজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহমিনা বেগম জানান, আমাদের স্কুলের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। সংযোগ সড়কের অভাবে ছাত্রছাত্রীরা অনেক কষ্ট করে স্কুলে আসে।

উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার জানান, জনগণের জন্য ব্রিজটি নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় মানুষ সুফল পাচ্ছেন না।

এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুবনা ফারজানা জানান, চার বছর আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ব্রিজটি নির্মাণ করে। এলাকার চেয়ারম্যান সংযোগ সড়কের প্রকল্প দিয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্য সড়কটি নির্মাণ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।