নির্মাণশ্রমিক থেকে ফের স্কুলছাত্র হাবিবুর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: ০৬:৫৪ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২১

দীর্ঘ দেড় বছর স্কুল বন্ধ এবং পরিবারে অভাব-অনটন লেগে থাকায় নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজে যোগ দেয় নবম শ্রেণির ছাত্র হাবিবুর রহমান (১৫)। টানা বন্ধের পর স্কুল খুলে দিলেও সে স্কুলে যায়নি। তবে তাকে স্কুলে ফিরিয়েছে রাজনগর ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন নামের একটি সামাজিক সংগঠন।

রোববার ( ১০ অক্টোবর) সংগঠনটির নেতা আবুল কালাম রাসেল ও ফুয়াদ আহমেদ মুরাদ হাবিবকে স্কুলে নিয়ে যান এবং তার ভর্তির কাজ শেষ করেন।

রাজনগর উপজেলার মহাসহস্র গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান। সে স্থানীয় রাজনগর আইডিয়াল হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা রানা মিয়ার একটি মোবাইল মেরামতের দোকান রয়েছে স্থানীয় বাজারে। স্বল্প আয়েই চলে তাদের সংসার।

মহামারি করোনার ভয়াল থাবায় দোকান বন্ধ হয়ে গেলে পাঁচ সদস্যের সংসার নিয়ে সংকটে পড়েন রানা মিয়া। পরিবারের অভাব পূরণে হাবিব নির্মাণশ্রমিকের কাজে যোগ দেয়। ঝরে পড়ে সে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম থেকে।

jagonews24

করোনাকালে দীর্ঘ ছুটির পর ফের আনুষ্ঠানিক পাঠদান শুরু হলেও হাবিব স্কুলে ফেরেনি। বিষয়টি জানতে পেরে তার পাশে দাঁড়ায় সামাজিক সংগঠন রাজনগর ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।

হাবিবুরের মা জয়তারা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, আমার অভাবের সংসার। ছেলে পরিবারের বড় সন্তান। অভাবের কারণে তার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সে নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজে যোগ দেয়। রাজনগর ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সহযোগিতায় আমার ছেলে আবার বিদ্যালয়ে ফিরেছে। আমি এতে আনন্দিত।

শিক্ষক রিবান বকস বলেন, তার লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার কথা শুনে আমি বিষয়টি সামাজিক সংগঠনটিকে জানাই। তারা শিশুটির পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এজন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

রাজনগর আইডিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে হাবিবকে সহযোগিতা করা হয়েছে। তাকে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। রাজনগর ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।

আব্দুল আজিজ/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।