গৃহবধূ নিখোঁজে পাল্টাপাল্টি মামলা, ৬ মাস পর উদ্ধার
ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে নিখোঁজ হন গুলশান (৩৩) নামে এক ইতালি প্রবাসীর স্ত্রী। এ ঘটনায় অপহরণে পর হত্যা ও মরদেহ গুম করার অভিযোগ তুলে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকদের আসামি করে মামলা করেন তার বাবা।
অন্যদিকে একই অভিযোগে পাল্টা মামলা করেন গুলশানের শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অবশেষে নিখোঁজের ১৭৫ দিন (ছয় মাস) পর গুলশানকে উদ্ধার করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানা পুলিশ।
শনিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজার থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
গুলশান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার ইউনিয়নের বিটঘর গ্রামে জাহাঙ্গীর মিয়ার মেয়ে ও একই উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বলিবাড়ি গ্রামের ইতালি প্রবাসী আলাল উদ্দিনের স্ত্রী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টানা ১০ বছর স্বামী আলাল উদ্দিন ইতালিতে থাকায় গৃহবধূ গুলশান দুই সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতেই থাকতেন। ২১ এপ্রিল বিটঘর গ্রাম থেকে নিখোঁজ হন প্রবাসীর স্ত্রী গুলশান। এ ঘটনায় পরদিন ২২ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন গুলশানের বাবা জাহাঙ্গীর মিয়া।
নিখোঁজের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে গুলশানের শ্বশুরবাড়ি এবং বাবার বাড়ির লোকজন একে অপরের বিরুদ্ধে অপহরণের পর হত্যা করে মরদেহ গুম করার পাল্টাপাল্টি মামলা করে। অবশেষে নিখোঁজের ১৭৫ দিন পর গুলশানকে উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে সরাইল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, একটি ফোন কল পেয়ে গুলশানকে ভৈরব বাজার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনাটি নিবিড়ভাবে তদন্ত করছি। দুই পরিবারকেই ডাকা হয়েছে। আশা করছি জিজ্ঞাসাবাদে নিখোঁজের আসল রহস্য উদ্ঘাটন হবে।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসজে/জেআইএম