রাঙ্গামাটিতে বেড়েছে ভাইরাসজনিত রোগ, আক্রান্তদের বেশিরভাগই শিশু
পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে হঠাৎই বেড়েছে ভাইরাসজনিত রোগের প্রকোপ। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। হাসপাতালের সিটের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে গত এক সপ্তাহ ধরে রোগীর চাপ বেড়েছে। জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। জেনারেল ওয়ার্ডে অতিরিক্ত রোগীর কারণে দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। তাই হাসপাতালের মেঝেতেই দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
জানা যায়, বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন ৪০-৫০ জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। হাসপাতালের ২০ শয্যার বিপরীতে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে ৭০ জন শিশুকে। যা ধারণ ক্ষমতার তিনগুণেরও বেশি। ওয়ার্ডের মেঝে ও গণরুমে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী বেড। ১০০ শয্যার এই হাসপাতালে বর্তমানে রোগী ভর্তি আছে ১৭০ জন।
এদিকে শিশুরা হঠাৎ করে ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়ছেন অভিভাবকরা। তবে বেশিরভাগ শিশুই ৩/৪ দিন চিকিৎসা নেয়ার পরই অবস্থার কিছুটা উন্নতি হচ্ছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া এক শিশুর অভিভাবক মিনতি চাকমা বলেন, ‘তিনদিন আগে আমার বাচ্চার জ্বর, ডায়রিয়া শুরু হওয়ায় তাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। এখন অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।’
অভিভাবকদের আতঙ্কিত না হয়ে শিশুদের প্রতি আরও যতœশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এম এ হাই।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শওকত আকবর বলেন, ‘সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে আমরা সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছি। শিশু ওয়ার্ডে চাপটা একটু বেশি। যেখানে আগে গড়ে ২০ জন শিশু ভর্তি থাকতো, এখন সেখানে ৬০-৭০ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। এটা আসলে প্রতি বছরই হয়। ঋতু পরির্বতনজনিত ফ্লুর কারণে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।’
শংকর হোড়/ এফআরএম/এএসএম