নাব্য সংকটে হিরণপয়েন্টে আটকে আছে দুই বিদেশি জাহাজ

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক মোংলা (বাগেরহাট)
প্রকাশিত: ১০:০২ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০২১
ফাইল ছবি

 

আউটারবারে ড্রেজিং হওয়ার পরও পলি পড়ে গভীরতা কমে যাওয়ায় পশুর চ্যানেলের হিরণপয়েন্ট এলাকা থেকে বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারছে না দুটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ। ফলে গত চার-পাঁচ দিন ধরে হিরণপয়েন্ট সংলগ্ন আউটারবারে অবস্থান করছে জাহাজ দুটি।

বন্দরের সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্ট জানায়, পানামা পতাকাবাহী এম,ভি সিএস ফিউচার ও টুভ্যালু পতাকাবহী এম,ভি পাইনিয়র পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরের আউটারবারে (বহির্নোঙর) চার-পাঁচ দিন ধরে অবস্থান করছে। নাব্যতা সংকটের কারণে বিদেশি এই জাহাজ দুটি বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি।

আটকে থাকা জাহাজ দুটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এফএমএস মেরিটাইমের খুলনাস্থ ব্যবস্থাপক মো. বিপ্লব ও পার্ক শিপিংয়ের চট্টগ্রামের সত্ত্বাধিকারী মো. হুমায়ুন কবীর পাটোয়ারী বলেন, আউটারবারে সাড়ে ৯ মিটার জাহাজ প্রবেশে ড্রেজিং করা হয়। তাদের জাহাজ দুটি সাড়ে ৯ মিটারেরও কম হলেও প্রবেশ করতে পারছে না। তাহলে শত শত কোটি টাকা খরচ করে ড্রেজিং করে লাভ হলো কি? আমাদের এখন মোটা অঙ্কের ক্ষতি দিয়ে লাইটার পাঠিয়ে পণ্য খালাস করতে হবে সেখান থেকে।

৩০ সেপ্টেম্বর মোংলা বন্দরের উদ্দেশে প্রায় ২৩ হাজার টন ইউরিয়া সার নিয়ে নয় দশমিক তিন মিটার গভীরতার পানামা পতাকাবাহী এম,ভি সিএস ফিউচার জাহাজ হিরণপয়েন্টের পাইলট স্টেশনে নোঙর করে। ১ অক্টোবর প্রায় ১১ হাজার টন সিরামিক পণ্য নিয়ে আসে টুভ্যালু পতাকাবাহী আরেকটি বিদেশি জাহাজ এম,ভি পাইনিয়র ড্রিম। নাব্যতা কম থাকায় জাহাজ দুটি বন্দরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারেনি।

এ বিষয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন বলেন, আপনাদের জানা উচিত ড্রেজিং করার পর ওই জায়গায় আবার পলি পড়ে ভরাট হয়। এরপর বর্ষা মৌসুম হওয়ায় আরও খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আউটারবারে ড্রেজিং করতে একটি হোপার ড্রেজার সেখানে পাঠানো হয়েছে।

জাহাজ ঢুকতে না পারার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা মেজর সমস্যা না, ওখানে লাইটার দিয়ে কিছু পণ্য খালাস করলে অনায়াসেই বন্দরে জাহাজ দুটি ঢুকতে পারবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল ও হাইড্রোলিক) ও আউটারবার ড্রেজিংয়ের পিডি মো. শওকত আলী বলেন, প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মোংলা বন্দরের আউটারবারের ১১ কিলোমিটার নদী পথের খনন কাজ শেষ হয়েছে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। এখন সেখানে কিছুটা পলি পড়ে গভীরতা কমে যাওয়ার কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে গত দুদিন ধরে সেখানে হোপার ড্রেজার দিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে।

মো. এরশাদ হোসেন রনি/এসজে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।