এবারও ইছামতিতে প্রতিমা বিসর্জন নিজ নিজ দেশের সীমারেখায়
আর কিছুদিন পরই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত নদী ইছামতিতে একসঙ্গে প্রতিমা বিসর্জন দিতেন দুই দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। আর এই উৎসব ঘিরে ইছামতির দুপাড়ে বাংলাদেশ ও ভারতের লাখো মানুষের উপস্থিতিতে হতো মিলন মেলা।
কিন্তু গত কয়েক বছরের মতো এবারও হচ্ছে না এই আয়োজন। ১৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে এবারও ইছামতির দুপাড়ে বসবে না সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সেই মিলন মেলা। প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে আগাম পতাকা বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজিবি-বিএসএফ এবং দুদেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
শনিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার ইছামতি নদীর নো ম্যানস ল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ঘণ্টাব্যাপী পতাকা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানা যায়, ইছামতি নদীর নো ম্যানস ল্যান্ড বরাবর রশি টানিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হবে। পাশাপাশি কোনো দেশের প্রতিমাবাহী ট্রলার যেন আন্তর্জাতিক সীমারেখা অতিক্রম করতে না পারে সেজন্য থাকবে বিজিবি ও বিএসএফ এর টহল। করোনা সংক্রমণ এড়াতে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত মেনে নিজ নিজ সীমানায় শান্তিপূর্ণভাবে ভারতীয় সময় দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৪টা এবং বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টা থেকে সাড়ে চারটার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দেবে দুদেশের মানুষ।
পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে দেবহাটা উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসেইন খাঁন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, বিজিবির টাউনশ্রীপুর কোম্পানি সদরের নায়েব সুবেদার বন্দে আলী, হাবিলদার মোকতারুজ্জামান, ল্যান্স নায়েক আবুল কামাল উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ভারতের পক্ষে হাসনাবাদের বিডিও মোস্তাক আহমেদ, এসডিপিও দেবরাজ ঘোষ, হাসনাবাদ পুলিশ স্টেশনের ইন্সপেক্টর কৃষ্ণেন্দু ঘোষ, টাকী পৌরসভার মেয়র সোমনাথ চ্যাটার্জী, বিএসএফ এর এসি বিনোদ কুমার, পরিদর্শক সুভাস চন্দ্র, এসআই পারভীন কুমার সানি, এইচসি ইত্তেফাক আহমেদসহ দুদেশের সিভিল প্রশাসন ও বিজিবি-বিএসএফ এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৭ সালে দুর্গাপূজা ঘিরে আয়োজন করা হয় বাংলাদেশ-ভারতের এই মিলনমেলার। পরবর্তীতে আইনি জটিলতার কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে বন্ধ হয়ে যায় এই আয়োজন।
আহসানুর রহমান রাজীব/এফআরএম/এমএস