সাগরে দুই ট্রলারসহ ৩২ জেলে ছয়দিন ধরে নিখোঁজ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বরগুনা
প্রকাশিত: ০৬:২৯ পিএম, ০১ অক্টোবর ২০২১

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় দুই ট্রলারের ৩২ জন জেলে ছয়দিন ধরে সাগরে নিখোঁজ রয়েছেন। বরগুনা জেলে মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিখোঁজ জেলেরা হলেন-এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের পাথরঘাটা উপজলার মঠরখাল এলাকার নুর মোহাম্মাদ মিস্ত্রির ছেলে শাহ জাহান, ছাত্তার মোল্লার ছেলে আব্দুর রশিদ, খালেক মিস্ত্রির ছেলে মাসুদ, আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আমির হাসান, আব্দুর রহমানের ছেলে মিরাজ, নুরু মিয়ার ছেলে ছগির, তাফালবাড়ি এলাকার খলিল গোলদারের ছেলে ফারুক, আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুস ছাত্তার, আব্দুল লতিফের ছেলে নাসির, জ্ঞানপাড়া এলাকার আব্দুল গনির ছেলে খলিল, কুদ্দুসের ছেলে আবুল কালাম, বড় টংরা এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে ফুল মিয়া এবং এফবি আব্দুল্লাহ ট্রলারের খোকন মাঝি, হুমায়ুন, শাহজাহান ও রাসেল। এফবি আব্দুল্লাহ ট্রালারের অন্য জেলেদের নাম জানা যায়নি।

see2

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লিটন মাহমুদের এফবি আব্দুল্লাহ ট্রলারটি গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে এবং ২৪ সেপ্টেম্বর আব্দুর রহমানের এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারটি দশর বহত্তম মৎস্য অবতরণকেদ্র থেকে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে বঙ্গোপসাগরে ছেড়ে যায়। এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি শাহজাহানের সঙ্গে মঙ্গলবারের (২৮ সেপ্টেম্বর) পর থেকে যোগাযোগ করতে পারেননি ট্রলার মালিক।

আব্দুল্লাহ ট্রলারের মালিক লিটন মাহমুদ সাগরে যাওয়ার পর থেকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার মাঝির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।

ট্রলারমালিকদের বরাত দিয়ে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, এফবি মায়ের দোয়া ও এফবি আব্দুল্লাহ ট্রলার গত ছয়দিন ধরে সাগরে নিখোঁজ রয়েছে। ট্রলার দুটিতে ৩২ জন জেলে রয়েছেন। ট্রলার দুটি উদ্ধারে তিনটি ট্রলার সাগরে পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত জেলে ও ট্রলারের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ বিষয় কোস্টগার্ড পাথরঘাটা স্টেশনের কমান্ডার লুৎফুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন ও পশ্চিম জোনসহ সবাইকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। নিখোঁজ ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।

এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।