যশোরে হুমকিতে বাড়ি ছাড়া নিহত শিশু মিরাজের পরিবার


প্রকাশিত: ০৩:২১ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৫

যশোরের ঝিকরগাছায় শিশু রিয়াদুল ইসলাম মিরাজ হত্যাকারীদের হামলা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে বাদীর পরিবার। অত্যাচার নির্যাতনে শিশু মিরাজের পরিবার এখন চরম নিরাপত্তহীনতায় ভুগছে। এজন্য তারা বাধ্য হয়ে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়েছে।

রোববার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন নিহত মিরাজের মা সালেহা খাতুন।

লিখিত বক্তব্যে সালেহা বেগম জানান, মিরাজ হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলায় এ মামলার আসামিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। খুলনা দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যাল থেকে গত ৬ ডিসেম্বর জামিন ও পরদিন মুক্তি পায় মামলার প্রধান আসামি জাহিদ হাসান মিলন। এরপর ৮ ডিসেম্বর আদালত চত্বরেই সে সাক্ষী আবদুল করিমকে জীবননাশের হুমকি দেয়।

হুমকির বিষয়টি পরবর্তী ১৩ ডিসেম্বর শুনানিতে আদালতকে অবহিত করা হয়। এরপর ওই দিনই আদালত মিলনের জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। এতে ক্ষিপ্ত ওই রাতেই মিলনের লোকজন বাদীর বাড়িতে হামলা চালায়। এখন নিরপাত্তার অভাবে মিরাজের পরিবার বাড়ি ছাড়া।

সালেহা বেগম আরও অভিযোগ করেন, হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে আসামিরা পুলিশকে ম্যানেজ করে মিরাজের বাবা মিজানুর রহমানকে ঝিকরগাছা থানার একটি নাশকতা মামলায় জড়িয়েছে। অথচ তাদের পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং এলাকার মানুষও তা জানে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২০ নভেম্বর ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে যশোরের ঝিকরগাছার লাউজানি গ্রাম থেকে ঝিকরগাছা বিএম হাই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র রিয়াদুল ইসলাম মিরাজকে অপহরণ করা হয়। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে আসামিরা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরদিন তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় মিরাজের বাবা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ঝিকরগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ডিবি পুলিশ ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। বতর্মানে মামলাটি খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে বিচারাধীন রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহত মিরাজের মামা হারুন অর রশিদ, চাচী হালিমা খাতুন, সুফিয়া খাতুন, নার্গিস খাতুন।

মিলন রহমান/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।