সপরিবারে ভারতীয় নাগরিকত্বের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বাগেরহাট
প্রকাশিত: ০৯:৫০ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ উঠেছে বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন পাল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় রয়েছে তাদের নাম।

২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

দেশের সম্পদ ভারতে পাচার ও স্থানীয়দের সেবা বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কায় মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন সুশান্ত বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তি।

খোঁজ নিয়ে জান যায়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মনোরঞ্জন পাল মোল্লাহাট উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়নের ডাবরা গ্রামের অমৃত লালের ছেলে। একই সঙ্গে তিনি ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নাগরিকও। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ মহাকুমার বাগদা থানার কনিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটার তালিকায় রয়েছে তার নাম। তার স্ত্রী দক্ষিণ চুনখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্নেহলতা পালেরও (বিশ্বাস) কনিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে। তাদের ছেলে সৌমিত্র পালও ভারতীয় নাগরিক। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তার (http://ceowestbengal.nic.in/PollingStationList?DCID=9&ACID=94) ওয়েবসাইটে তাদের নাম ও ঠিকানা রয়েছে।

তবে এসব বিষয় অস্বীকার করে নব-নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন পাল বলেন, আমি এবং আমার পরিবারের সব সদস্য শুধুমাত্র বাংলাদেশি নাগরিক। ভারতে আমার কোনো নাগরিকত্ব নেই। কোনো ব্যবসা বাণিজ্যও নেই। কোনো একটি কুচক্রী মহল এমন অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তার ওয়েবসাইটে পরিবারের তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওয়েবসাইটের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। ওয়েবসাইট বুঝিও না।

মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা প্রবীর কুমার মল্লিক বলেন, নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির নাম বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটার তালিকায় থাকলেই সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে কোনো তফসিলি আদালত অথবা সরকারের সাংবিধানিক কোনো প্রতিষ্ঠান যে নির্দেশনা দেবে নির্বাচন কমিশন সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে।

বাগেরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মু. শাহ আলম বলেন, একজন সরকারি কর্মচারী বিনা অনুমতিতে দেশের বাইরে যেতে পারেন না। যদি কোনো শিক্ষক দেশের বাইরে যায় অথবা দুই দেশের নাগরিকত্ব থাকে তাহলে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শওকত আলী বাবু/এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।