ঝুমন দাসের মুক্তিতে পরিবারের স্বস্তি
ছয় মাস কারাভোগের পর এক বছরের জামিন পেয়েছেন সুনামগঞ্জের শাল্লার নোয়াগাও গ্রামের বাসিন্দা ঝুমন দাস (২৩)। তার জামিনে খুশি পুরো পরিবার।
ঝুমনের স্ত্রী সুইটি রানী দাস জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম ঝুমন দাসকে। হঠাৎ আমার সাজানো সংসারে কালো ছায়া নেমে আসে। এই ছয়টি মাস আমি জানি আমার কেমন করে কেটেছে। জেলখানায় না থেকেও বন্দিদশায় কাটিয়েছি। এটা যে কতটা যন্ত্রণাদায়ক বলে বুঝাতে পারবো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামী জেলে যাওয়ার পর তিনবেলা পেট ভরে খেতে পারিনি। আমাদের একমাত্র সন্তান অসুস্থ ছিল। তাকে ওষুধ কিনে দেওয়ার মত টাকা ছিল না। আজকে আমার স্বামীর জামিনে আমাদের পুরো পরিবার অসহায়ত্বের জীবন থেকে মুক্তি পেলো। আমি আজকে খুব খুশি এটা ভেবে আমার স্বামী আবারও আমাদের মাঝে ফিরে আসবে।’
ঝুমনের মা নিবা রানী দাস জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার ছেলে দীর্ঘ ৬ মাস পর আজকে জামিনে ছাড়া পেল। সে জেলে যাওয়ার পর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল। আজকে আমার ছেলে জামিন হয়েছে এতেই আমার শান্তি।’
ঝুমন দাসের পক্ষের আইনজীবী দেবাংশু দাস জাগো নিউজকে জানান, ঝুমন দাসের জামিন হয়েছে। সব কাগজপত্র ঠিকঠাক হলেই বাড়ি ফিরবেন তিনি।
জানা যায়, ঝুমন দাসের পরিবারে পরিবারে মা, স্ত্রী ও ছয় মাসের একটা ছেলে সন্তান রয়েছে। তার বাবা মারা গেছেন অনেক আগেই। তাই সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন গ্রেফতার ঝুমন দাস।
হেফাজতের সাবেক নেতা মামুনুল হকের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা মামলায় গত ১৫ মার্চ গ্রেফতার করা হয় ঝুমন দাসকে। ছয় মাস কারাভোগের পর বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) উচ্চ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
লিপসন আহমেদ/ এফআরএম/জিকেএস