মহেশপুরে ১৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন


প্রকাশিত: ০৮:০৯ এএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫

ঝিনাইদহের মহেশপুর পৌরসভা নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এই ৪১ জনের মাঝে ১৫ জনই শুধুমাত্র অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন। বাকি ২৬ জনের মাঝে পাঁচজন কেবলমাত্র পঞ্চম শ্রেণি আর একজন হলেন সপ্তম শ্রেণি পাস।

আবার বাকি ২০ জনের মাঝে ১২ জনই কেবলমাত্র অষ্টম শ্রেণি পাস। মহেশপুর পৌরসভা নির্বাচনে সাধারণ আসনে কাউন্সিলর পদে ৪১ প্রার্থীর মধ্যে ৩৩ জনই এসএসসির গণ্ডি পেরুতে পারেননি।

মহেশপুর পৌরসভা নির্বাচনে এবার মেয়র পদে চারজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪১ জন আর সংরক্ষিত নারী আসনে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। মেয়র পদে দু`জনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

ঝিনাইদহ নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, এক নম্বর ওয়ার্ডের চার প্রার্থীর মধ্যে মো. রুহুল আমীন (পঞ্চম শ্রেণি), নজরুল ইসলাম (অষ্টম শ্রেণি) ও আমিনুর রহমান (অষ্টম শ্রেণি) পাশ বলে উল্লেখ করেছেন।

২ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে আব্দুস সালাম (পঞ্চম শ্রেণি), গিয়াস উদ্দিন (বিএ), আবুল কাশেম (অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন), মো. শাহজাহান আলী (অষ্টম শ্রেণি) ও মো. শফিকুল আলম (এম.এস.এস) পাশ উল্লেখ করেছেন।

৩ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে মো. জাবেদ ইকবাল (এস.এস.সি), খায়রুল ইসলাম (এইচ.এস.সি), মো. মান্দার আলী (অষ্টম শ্রেণি) মো. রুহুল আমিন মিন্টু (অষ্টম শ্রেণি) ও মো. আলাউদ্দীন (সপ্তম শ্রেণি) পাশ করেছেন।

৪ নম্বর ওয়ার্ডের ৯ প্রার্থীর মধ্যে মো. আব্দুল কাদের বিশ্বাস (অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন), মো. আলাউদ্দীন শেখ (পঞ্চম শ্রেণি), মো. আলী হোসাইন (অষ্টম শ্রেণি), মো. আলমগীর কবীর (অষ্টম শ্রেণি), মো. আশাদুল হক (স্বাক্ষর জ্ঞান), মো. হাবিবুর রহমান (পঞ্চম শ্রেণি), মো. হাসানুজ্জামান (এস.এস.সি), শেখ মো. হাশেম আলী (অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন) ও মো. থিউপিল হোসেন (অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন) মর্মে হলফনামায় দাবি করেছেন।

৫ নম্বর ওয়ার্ডের তিন প্রার্থীর মধ্যে আবু জাফর (অষ্টম শ্রেণি), শ্যামাপদ হালদার (অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন) ও মো. সোহাগ খাঁন (এইচ এস. সি) উল্লেখ করা হয়েছে।

৬ নম্বর ওয়ার্ডে চার প্রার্থীর মধ্যে কাজী আতিয়ার রহমান (অষ্টম শ্রেণী), মো. মকবুল হোসেন (স্বাক্ষর জ্ঞান) ও মো. মনিরুল ইসলাম (অষ্টম শ্রেণি) পাশ করেছেন।

৭ নম্বর ওয়ার্ডের দুই প্রার্থীই অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন মোহা. আবুল হাশেম পাঠান ও মোহা. হজ্জেল হক।

Moshespur

৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাত প্রার্থীর মধ্যে মো. আবুল কাশেম (অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন), মো. আমির হোসেন (অষ্টম শ্রেণি), মো. বাবুল হোসেন (অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন), মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন (অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন), মো. মালেক মিয়া (এস.এস.সি), মো. সমশের আলী (স্বাক্ষর জ্ঞান) ও মো. তোতা মিয়া (পঞ্চম শ্রেণি) পাশ।

৯ নম্বর ওয়ার্ডের চার প্রার্থীর মধ্যে মো. আব্দুল খালেক (অষ্টম শ্রেণি), মো. মমিনুল ইসলাম (বি.কম, অনার্স) এম.কম), মো. রফিকুল ইসলাম (অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন), ও মো. টিটু (অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন) বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া ১ নম্বর ওয়ার্ডের আলী হাফিজ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জাকির হোসেনের শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে মহেশপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক এস.এম খায়রুল আনাম জানান, এক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার একটা মাপকাঠি নির্বাচন কমিশন নির্ধারণ করে দিলে ভালো হয়। না হলে এই জাতীয় প্রার্থীই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। তারা সব কিছু বুঝে জনগণের সেবা কতটুকু করতে সক্ষম হবেন তা নিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। তাছাড়া, অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন মানুষগুলো আইন-কানুন পড়বেন কিভাবে।
 
তিনি মনে করেন, দেশে দল থাকবে কিন্তু দলীয়করণ হলে চলবে না। দলীয়করণ হলে শিক্ষিত মানুষগুলো আসার সুযোগ পাবেন না। যারা জনপ্রতিনিধি হবেন তারা জনগণের জন্য কাজ করবেন। কিন্তু শিক্ষিত মানুষগুলো এই সকল নির্বাচনে না আসায় যারা নির্বাচিত হচ্ছেন তারা নিজেরাই নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে ভালোমতো বোঝেন না।

এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।