ঠাকুরগাঁওয়ে অদ্ভূত উদ্ভিদকে পূজা করা হচ্ছে
ঠাকুরগাঁওয়ে মানুষের হাতের পাঞ্জা আকৃতি এবং শেকড়ের মতো দেখতে এক উদ্ভিদ নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। দেবতার হাত ভেবে এরই মধ্যে পূজা শুরু করেছেন এলাকার হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
শনিবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মধুপুর গুদামপাড়া গ্রামে পরিত্যক্ত শ্বশানঘাটের মাটির ঢিবিতে একটি হাতের ন্যায় উদ্ভিদ পাওয়া গেছে।
দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে উদ্ভিদটি দেখতে এলাকার লোকজন ভিড় করতে শুরু করেন ওই স্থানটিতে। যত দিন বাড়ছে, ততই বাড়ছে দর্শনার্থীর সংখ্যা।
স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন সেটা দেবতার হাত ভেবে পূজ শুরু করেছেন। নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন পুরোহিত জাগো নিউজকে জানান, স্থানীয় দুন্দু নামে এক ব্যক্তি সেখানকার একটি গাছ কেটে ফেলেন ২/৩ বছর আগে। সেই থেকে তার সন্তান সূর্য অসুস্থ হয়ে পড়ে। সম্প্রতি দুন্দুকে সেখানকার গ্রামঠাকুর স্বপ্নে দেখায় যে, সেখানে দেবতার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে দিতে হবে। তারই আলোকে দেবতার হাত দেখতে পেয়ে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন পূজা শুরু করেছেন।
অসুস্থ সূর্য জানায়, দেবতা তার সকল রোগ সারিয়ে দিলে সেখানে তিনি ঘর নির্মাণ করে দেবেন।
লাড়িহী থেকে আসা হরিকৃষ্ণ জাগো নিউজকে জানান, গাছের কথা শুনে এখানে এসেছি। ভক্তি করলাম।
ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোখলেসুর রহমান সরদার জাগো নিউজকে বলেন, অনুমান করা হচ্ছে যে এটা বাঁশ গাছেরই অংশ। কোনো কারণে সেটা হাতের পঞ্জার আকার ধারণ করেছে।
রবিউল এহসান রিপন/এমজেড/পিআর