তথ্য ভুলে ভাতা পাচ্ছেন না হবিগঞ্জের ৫২৩৬ কার্ডধারী
তথ্য হালনাগাদের সময় ভুল মোবাইল নম্বর লিপিবদ্ধ করায় ভাতা পাচ্ছেন না হবিগঞ্জের ৫ হাজার ২৩৬ কার্ডধারী। প্রায় ছয় মাস ধরে তারা ভাতা না পাওয়ায় অনেকটা কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।
তাদের মধ্যে ৩ হাজার ২০০ জনের তথ্য সংশোধন হলেও এখনও ভাত পাননি তারা। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আগের বকেয়াসহ সবাই ভাতা বুঝে পাবেন বলে আশ্বস্ত করেছে জেলা সমাজসেবা বিভাগ।
এ বিষয়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. জালাল উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, গত জুনে ভাতা দেওয়ার সময় এ ভুল ধরা পড়ে। জেলায় ৫ হাজার ২৩৬ জন ভাতাভোগীর তথ্য হালনাগাদ করার সময় মোবাইল নম্বর ভুল করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি জানান, মোবাইল নম্বর হালনাগাদ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল একটি মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টকে। তাদের ভুলেই এসব ভাতাভোগী ভাতা পাননি। তবে তাদের টাকা ফেরত জমা হয়েছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। তথ্য ঠিক হওয়ার পর সবাই বকেয়াসহ ভাতা পাবেন। আশা করা যায়, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে।
মোহাম্মদ জালাল জানান, ভুল নম্বরগুলো ঠিক করছে ওই ব্যাংকিং এজেন্ট, তা চলমান রয়েছে। তবে তিন হাজার ২০০ ঠিক করা হলেও তারা এখনও ভাতা পাননি। ৩০ সেপ্টেম্বর পাবেন।
সমাজসেবা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরের হিসাবে জেলায় ১০ ধরনের স্থায়ী ভাতাভোগীর সংখ্যা ১ লাখ ২১ হাজার ৩৫০ জন। আগে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৩ মাস অন্তর অন্তর তাদের ভাতা দেওয়া হতো। মোট ভাতা পরিশোধ করা হতো ১৯ কোটি ৯০ লাখ ১৩ হাজার ৫৫০ টাকা। কিন্তু দুর্নীতি রোধকল্পে জুনে ব্যাংক হিসাবের পরিবর্তে মোবাইল ব্যাংকিয়ের মাধ্যমে ভাতা নেওয়ার সুবিধা চালু করে সরকার।
এজন্য প্রত্যেক ভাতাভোগীর হিসাব নম্বর (মোবাইল নম্বর) সংগ্রহ করে সমাজসেবা অধিদপ্তর। আর এ দায়িত্ব পালন করে একটি মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট। কিন্তু তথ্য লেখার সময় ভুল মোবাইল নম্বর লিপিবদ্ধ করা হয়। অনেকেরই ডিজিট কম বা ভুল দেওয়া হয়েছে। এ সংখ্যা ছিল জেলায় প্রায় ৫২৩৬ জন।
সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে নম্বরগুলোতে টাকা পাঠালেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেরত আসে। এজন্য জুনে দেওয়া আগের তিন মাসের টাকা পাননি তারা। এখন পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ২০০ কার্ডধারীর তথ্য ঠিক (মোবাইল নম্বর) করা হয়েছে, বাকিদেরটা প্রক্রিয়াধীন। তবে বাকি ২ হাজার ৩৬ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চুনারুঘাট উপজেলায়। সেখানে ৫০০ জনের মোবাইল নম্বর ভুল রয়েছে।
তথ্য দ্রুত সংশোধনের জন্য উপর থেকে চাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক। নতুন অর্থবছরে তিন মাসের টাকা বকেয়াসহ তারা পাবেন বলেও জানান তিনি।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এমআরএম/জেআইএম