মিথ্যা তথ্য প্রকাশের অভিযোগে সাংবাদিককে মাউশির আইনি নোটিশ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ১০:৩৮ এএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
ফাইল ছবি

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) রাজশাহী আঞ্চলিক পরিচালক, সহকারী পরিচালক ও সহকারী প্রোগ্রামারের নামে সংবাদ প্রকাশ করায় ‘বাংলাদেশের আলো’ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মফিজুল ইসলামসহ রাজশাহীর ব্যুরো প্রধান ফারুক আহম্মেদকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

গত ৮ সেপ্টেম্বর মাউশির রাজশাহীর আঞ্চলিক পরিচালক অধ্যাপক ড. কামাল হোসেন, সহকারী পরিচালক ড. আবু রেজা আজাদ এবং সহকারী প্রোগ্রামার ডলি রানী পালের পক্ষে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান রাজশাহী জজ কোর্টের আইনজীবী এজাজুল হক মানু।

ওই দিনই রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আইনি নোটিশটি পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেন অধ্যাপক ড. কামাল হোসেন।

নোটিশে আইনজীবী উল্লেখ করেন, প্ররোচিত ও প্রভাবিত হয়ে গত ২৫ আগস্ট বাংলাদেশের আলো পত্রিকায় ‘রাজশাহী আঞ্চলিক শিক্ষা ভবনে অনিয়ম’ শিরোনামে সংবাদ ছাপানো হয়েছে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-‘কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে সকল অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এসব অনিয়ম আর দুর্নীতি যেনো দেখার কেউ নেই। প্রতিটি ফাইল বিনা কারণে করা হয় রিজেক্ট। উৎকোচ দিলে ফাইল রিজেক্ট হয়না। দপ্তরটির সকল ফাইল পাস হয় দপ্তরটির তিন জনের নেতৃত্বে। প্রতিটি ফাইলের টাকা লেনদেন হয় সহকারী প্রোগ্রামার ডলি রানী পালের মাধ্যমে।’

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, শত্রুদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তথ্যের সত্যতা যাচাই-বাছাই ছাড়াই ওই তিনজনকে হেয় প্রতিপন্ন করতে এই খবর পরিবেশন, মুদ্রণ এবং প্রকাশ করা হয়েছে। এই খবর মুদ্রিত ও প্রকাশিত হওয়ায় সমাজের অনেক পাঠক তাদের পরিবার পরিজনের প্রতি বিরূপ ধারণা পোষণ করছেন। এতে ওই তিনজনের মান-সম্মান চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে।

আইনজীবী এজাজুল হক মানু জানান, তারা বিধি মেনে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। মিথ্যা, বিদ্বেষপূর্ণ ও মানহানিকর খবর পরিবেশ, মুদ্রণ ও প্রকাশ করায় তাদের বিরুদ্ধে কেনো ফৌজদারি ও দেওয়ানি আদালতে মামলা-মোকদ্দমা করা যাবেনা তা নোটিশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে আইনজীবীকে জানাতে বলা হয়েছে। জবাব প্রাপ্তি সাপেক্ষে তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

এবিষয়ে মাউশি রাজশাহীর আঞ্চলিক পরিচালক ড. কামাল হোসেন জানান, এমপিও আবেদন হয় শতভাগ অনলাইনে। আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের পর সহকারী পরিচালক (কলেজ) ও উপপরিচালক (কলেজ) মতামত দিয়ে থাকেন। সহকারী পরিচালক ও উপপরিচালকের মতামতের ভিত্তিতে পরিচালক পর্যবেক্ষণের পর সিদ্ধান্ত দেন পরিচালক। জনবল কাঠামো, প্রচলিত আইন ও নীতিমালা মেনেই এমপিও আবেদন নিষ্পত্তি হয়।

তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিবার এমপিও নিয়ে একটি চক্র তদবির শুরু করে। সব ধরনের চাপ উপেক্ষা করে নীতিমালা মেনে এমপিও আবেদন নিষ্পত্তি করেন তারা। আর এতে ক্ষিপ্ত হন তদবিরকারীরা। নানান কায়দায় এমপিও কার্যক্রম নিয়ে অপপ্রচার চলে। এতে আঞ্চলিক দপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তা সরাসরি যুক্ত বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সালমান শাকিল/ এফআরএম/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।