পুলিশের ফেসবুক পেজে অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার পেলেন নারী
গোপনে নারীর ভিডিও ধারণ করেন মো. নিয়ামুল হোসেন রাতুল নামের এক যুবক। সেই ভিডিও ওই নারীর ফেসবুক মেসেঞ্জারে দিয়ে ভয়ভীতি দেখান। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকাও দাবি করেন ওই যুবক। উপায় না পেয়ে পুলিশের ফেসবুক পেজে অভিযোগ করেন নারী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত রাতুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রাতুল জামালপুর চকপাড়া এলাকার মো. সোহেল রানার ছেলে।
এর আগে, দুপুর ২টার দিকে নগরীর চন্দ্রিমা থানার জামালপুর চকপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) নগর মুখপাত্র ও মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস।
তিনি বলেন, ফেসবুকে হয়রানির শিকার এক নারী ২৭ আগস্ট বাংলাদেশ পুলিশের (Police Cyber Support For Women) ফেসবুক পেজে প্রতিকার চেয়ে পোস্ট করেন এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার অনুরোধ জানান। অভিযোগে তিনি জানান- একটি ফেসবুক আইডি থেকে গোপনে ধারণকৃত তার আপত্তিকর ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে। ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকাও দাবি করা হয়। এছাড়া বিষয়টি কাউকে জানালে তার বড় ক্ষতি করা হবে মর্মেও হুমকি দেওয়া হয়।
গোলাম রুহুল কুদ্দুস আরও বলেন, ভিকটিমের দেওয়া তথ্য-প্রমাণ পর্যালোচনা করে অভিযুক্ত মো. নিয়ামুল হোসেন রাতুলের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। আমাদের পরামর্শে ভিকটিম চন্দ্রিমা থানায় এসে মামলা করেন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তের অবস্থান চিহ্নিত করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ফয়সাল আহমেদ/এসজে/এএসএম