বেনাপোলে সন্ধ্যার পর পচনশীল পণ্যের শুল্কায়ন বন্ধ

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক বেনাপোল (যশোর)
প্রকাশিত: ০৪:৫১ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

রাজস্ব ফাঁকি রোধে সন্ধ্যার পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা পচনশীল পণ্যের শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে শুল্ক কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সন্ধ্যার পর পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে কিছু ব্যবসায়ীর অনিয়মের অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, এ সিদ্ধান্তের কারণে দিনের দিন পণ্য খালাস নিতে না পারায় গরমে বেশিরভাগ পণ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যার পর কাঁচামালজাতীয় পণ্য ছাড়করণের ক্ষেত্রে কিছু ব্যবসায়ী অনিয়ম করে শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেন। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রায় তিন কোটি টাকা রাজস্ব বকেয়া রয়েছে। তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছেন না। ফলে নিরাপত্তার স্বার্থে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে আপাতত শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।

কিছুদিন আগেও বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফলজাতীয় কাঁচামাল আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। তবে এখন ভারত থেকে প্রতিদিন প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের ফল ও খাদ্যদ্রব্য আমদানি হয়। এসব আমদানি পণ্য থেকে প্রতিদিন সরকারের দুই থেকে তিন কোটি টাকা রাজস্ব আসে।

jagonews24

বেনাপোল বন্দরের ৩১ নম্বর ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডের পরিদর্শক (ট্রাফিক) পলাশ জানান, বেনাপোল বন্দরে গত তিনদিনে ভারত থেকে ৪৫ ট্রাক খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পচনশীল পণ্য আমদানি হয়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে মাছ, টমেটো, কাঁচামরিচ, আঙুর, ক্যাপসিক্যামসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য। তবে কাস্টমসে বিধিনিষেধের কারণে সন্ধ্যার পর ব্যবসায়ীরা অনেক পণ্য খালাস নিতে পারেননি। তবে এ সিদ্ধান্তে রাজস্ব ফাঁকি রোধ হয়েছে।

আমদানিকারকদের একজন প্রতিনিধি রয়েল হোসেন বলেন, ভারত থেকে মূলত পচনশীল পণ্য বিকেলের দিকে আসে। আগে তারা গভীর রাত পর্যন্ত পণ্য খালাস নিতে পারতেন। বর্তমানে সন্ধ্যার পর পচনশীল কোনো কাঁচামাল তারা খালাস নিতে পারছেন না। এতে তারা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

তিনি বলেন, কাঁচামাল গরমের মধ্যে পচে নষ্ট হচ্ছে। সৎ ব্যবসায়ীদের বৈধ সুবিধা বাস্তবায়ন করতে শুল্ক কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান এ ব্যবসায়ী।

জামাল হোসেন/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।