শার্শায় ভাইয়ের বসতভিটায় ভাইয়ের ভাঙচুর, থানায় অভিযোগ

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক বেনাপোল (যশোর)
প্রকাশিত: ০৯:১০ এএম, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুরে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছোট ভাইয়ের বসতভিটায় ভাঙচুর, গাছগাছালি কেটে দেয়া এবং হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সংক্রান্ত অভিযোগ দেয়া হয়েছে শার্শা থানায়।

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শার্শা থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন ডিহি ইউনিয়ন পরিষদের বাসিন্দা মনির হোসেন। দুপুরে নিজের বসতভিটা দখল করতে বাড়িতে ঢুকে গাছগাছালি কেটে দেয়া, বাড়ির প্রাচীর ভেঙে ফেলা, জমি দখল নিতে ধানের গোলা বসিয়ে দেয়া এবং হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি।

মনির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাবা মারা যাওয়ার পর প্রায় ৩০ বছর আগে গ্রামের মাতবরের উপস্থিতিতে চার ভাইয়ের নামে জমিজমা ভাগ হয়। সেভাবে সবাই বসবাস করে আসছিলাম। কিন্তু কোনো সমঝোতা ছাড়াই হঠাৎ প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে বড় ভাই সৈয়েদ মুন্সি তার ছেলে রাজু আহম্মেদ মনু ও তার দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে আমার বসতভিটার ওপর দিয়ে রাস্তা নিতে জমি দখল নেন। এসময় বাধা দিলে তারা আমাকে ও আমার স্ত্রী, ছেলে-মেয়েকে মারধর করেন। এছাড়া জমির গাছগাছালি কেটে ফেলে হত্যার হুমকি দিয়ে যান। জমির উঠোনে একটি ধানের গোলাও বসিয়ে দিয়ে যান তারা। তাদের হুমকিতে জীবন হারানোর আতঙ্কে ভুগছি। সুষ্ঠু বিচারের আশায় শার্শা থানা পুলিশকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’

জানতে চাইলে সৈয়েদ মুন্সির ছেলে রাজু আহম্মেদ মনু জাগো নিউজকে বলেন, ‘মেইন রাস্তার সঙ্গে আমাদের রাস্তা দরকার। সম্প্রতি সালিশ হলেও চাচা মানেননি। গাড়িঘোড়া ঢুকবে আমাদের বাড়িতে। চাচা রাস্তা না দেওয়ায় জমি দখল নিতে প্রাচীর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।’

শার্শার ডিহি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেন আলী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি একাধিকবার সালিশ করেছি। কিন্তু একজন মানলে আর একজন মানে না। তবে ভাঙচুরের বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি।

শার্শা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

মো. জামাল হোসেন/এইচএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।