লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকদের লাফালাফি
সকাল থেকেই সুনামগঞ্জে অনুভূত হচ্ছে প্রখর রোদের তাপ। একটু বাতাসও নেই। শরীর থেকে দর দর ঝরে পড়ছে ঘাম। তারপরও থেমে নেই পর্যটকরা। টাঙ্গুয়ার হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছোট-বড় নৌকা নিয়ে ছুটে চলছেন তারা। তবে অন্যদিনের তুলনায় সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) হাওরের দৃশ্যটা অন্য রকম দেখা গেলো।
টাঙ্গুয়ার হাওরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পর্যটকরা গান বাজিয়ে হাওরে প্রবেশ করছেন। ওয়াচ টাওয়ারে নৌকা বাঁধার আগেই তারা নৌকা থেকে শর্ট, প্যান্ট ও গেঞ্জি পরে ঝাঁপ দিচ্ছেন পানিতে। তবে কোনো পর্যটকের শরীরে লাইফ জ্যাকেট ছিল না।
ঢাকা থেকে আসা সমির তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, সকাল থেকে প্রচণ্ড গরম পড়ছে। গরমের যন্ত্রণা আর সহ্য করতে পারছি না। হাওরে পৌঁছা মাত্র নৌকা থেকে পানিতে লাফিয়ে পড়েছি। এখন খুব শান্তি লাগছে।
জীবন কবির নামের আরেক পর্যটক জাগো নিউজকে বলেন, আমরা আগেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম টাঙ্গুয়ার হাওরে পৌঁছা মাত্রই পানিতে লাফালাফি করে শরীর ঠান্ডা করবো। এখন সেটাই করছি।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক কিবরিয়া আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি এর আগে একবার টাঙ্গুয়ার হাওরে এসেছিলাম। তখন লাইফ জ্যাকেট পরে গোসল করেছিলাম। আজ খুব গরম তাই লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই হাওরের পানিতে নেমে পড়েছি।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান কবির জাগো নিউজকে বলেন, লাইফ জ্যাকেট ছাড়া টাঙ্গুয়ার হাওরের পানিতে কেউ গোসল করতে পারবেন না। কারণ যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেজন্য আমরা নৌকার মাঝিদের বলে দিয়েছি নৌকায় যাতে তারা পর্যাপ্ত পরিমাণ লাইফ জ্যাকেট রাখেন।
লিপসন আহমেদ/এসআর/এমএস