এবার পত্রিকার সম্পাদক-বাদীর নামে মেয়রের কোটি টাকার মানহানি মামলা
চাঁদাবাজির মামলা ও সংবাদ সম্মেলন সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করায় যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক গ্রামের কাগজের প্রকাশক ও সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিনসহ দুইজনের বিরুদ্ধে কোটি টাকার মানহানির মামলা হয়েছে।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মামলাটি করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গৌতম মল্লিক অভিযোগে তদন্ত করে পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
অপর আসামি হলেন-কেশবপুরের ব্রহ্মকাটি গ্রামের খন্দকার রফিকুজ্জামানের ছেলে খন্দকার মফিদুল ইসলাম।
সূত্র জানায়, গত ১৭ আগস্ট যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলামসহ তিনজনের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন ডিশ (ক্যাবল) ব্যবসায়ী খন্দকার মফিদুল ইসলাম। এরপর ২৪ আগস্ট প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে মফিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, মেয়র ও তার সহযোগীদের নামে মামলা করে বাদী ও সাক্ষীরা বিপাকে আছেন। পরে ২৮ আগস্ট যশোর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে ‘শান্তিপ্রিয় মানুষ’ দাবি করেন মেয়র রফিকুল ইসলাম।
মানহানির মামলার বাদী মেয়র রফিকুল ইসলামের অভিযোগ, তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে কেশবপুর পৌরসভায় দুইবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। পৌরবাসীর জীবনমান উন্নয়নে তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে আসামি মফিদুল ইসলাম তার সম্মানহানির জন্য নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। তারই ধারাবাহিকতায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেই সংবাদ গ্রামের কাগজে প্রকাশ করে তার সম্মানহানি করা হয়েছে। এতে মেয়রের এক কোটি টাকার সম্মানহানি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, সোমবার (৩০ আগস্ট) কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলামসহ সাতজনের নামে চাঁদাবাজি, ফাঁকা চেক ছিনতাই ও জোরপূর্বক নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সই করিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন কেশবপুর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের শওকত আলীর ছেলে মিজানুর রহমান শিমুল। বিচারক গৌতম কুমার মল্লিক অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মিলন রহমান/এসআর/এএসএম