১০ দিনেও চালু হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ০৪:৫৭ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০২১

কিট সংকটের কারণে বন্ধ হওয়ার দশদিন পরও চালু হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা। ফলে এ হাসপাতাল থেকে তাৎক্ষণিক করোনা পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারছেন না রোগীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র ও ভুক্তভোগীরা জানান, গত ২২ আগস্ট (রোববার) জেনারেল হাসপাতালের র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার কিট শেষ হয়ে যায়। দুইদিন পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোরও র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার কিটও শেষ হয়ে যায়। ফলে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পাঠানো হয়। এ পিসিআর ল্যাব থেকে রিপোর্ট ও ম্যাসেজ আসতে অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাস শনাক্তে প্রথম অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়। প্রথম অবস্থায় ৫০০ কিট দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করে। পর্যায়ক্রমে জেলার ৯ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু করে।

jagonews24

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নমুনা দিতে আসা বিউটি রানী সাহার ভাই প্রদীপ সাহা বলেন, আমার বোন একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় চিকিৎসক বলেছে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে। কিন্তু হাসপাতালে এসে করোনাভাইরাস পরীক্ষার পর জানতে পারলাম রিপোর্ট পেতে সময় লাগবে। এনিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় আছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. একরাম উল্লাহ বলেন, কিট সংকটের কারণে গত ১০ দিন ধরে আমরা নমুনা ঢাকায় পিসিআর ল্যাবে পাঠাচ্ছি। প্রতিদিন জেলায় গড়ে ৩০০-৪০০ জনকে অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হতো। জেলায় শুধুমাত্র বক্ষব্যাধি হাসপাতালে কিছু অ্যান্টিজেন টেস্টের কিট রয়েছে। তাও শেষ হওয়ার পথে। আমরা অ্যান্টিজেনের কিটের জন্য চাহিদা পাঠিয়েছি।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/আরএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।