সেটেলমেন্ট অফিসারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে খুলনার কয়রা উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার অ্যাড. মাহমুদুর রহমান মন্টু বাদী উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
আদালত সকল আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। আর এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে আসামিরা মামলার সাক্ষীদের নিকট দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।
আসামিরা হলেন, উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মো. ইসরাফিল হাওলাদার, এস আলম, অফিস সহকারী আওরাঙ্গ জেব, সার্ভেয়ার মনোজ কুমার,পিয়ন কাম বেঞ্চ সহকারী মো. বদরুল আলম, বেঞ্চ সহকারী আমজাদ হোসেন, সাবেক সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মো. লিয়াকাত হোসেন, সাবেক উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার শেখ আবুল খায়ের। আদালতের মামলা নং-সিআর-৩০৯/২০১৫ তাং- ১৫/১২/২০১৫ ইং।
জানা গেছে, উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের অফিসার থেকে শুরু করে কর্মচারী ও কতিপয় মহুরি মিলে দীর্ঘদিন যাবৎ বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে অসহায় মানুষের নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে একজনের জমি অন্যকে পাইয়ে দিয়ে অসহায়দের সর্বস্বান্ত করে চলেছেন। জমির কাগজপত্র ঠিক থাকলেও প্রতি বিঘা জমির রেকর্ড নিতে ৫০/৬০ হাজার টাকা কর্মকর্তাদের ঘুষ দিতে হয়। জমি মালিকদের কাগজে কোনো প্রকার ত্রুটি না থাকলেও নির্ধারিত ঘুষের টাকা না দিলে তাকে মাসের পর মাস ঘুরানো হয়।
অবশেষে অসহায় জমি মালিক নিজের সম্পদ রক্ষায় শেষ পর্যন্ত জমি হারানোর ভয়ে তার নিজস্ব জায়গা জমি, গহনা বন্ধক/বিক্রয় করে ধার্যকৃত টাকা দিয়ে জমির রেকর্ড সংশোধন করতে হয়। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে কয়রার মানুষ সেটেলমেন্ট অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে সেটেলমেন্ট অফিসটির দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগসহ বিভিন্নপত্র পত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হলেও দুর্নীতি থামছিল না।
অবশেষে অ্যাড. মাহমুদুর রহমান মন্টু বাদী হয়ে উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মো. শফিকুল ইসলামসহ ৯ কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার কয়রা উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত সকল আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
আলমগীর হান্নান/এআরএ/আরআইপি