বরিশালে বেড়েছে ডাল-চিনির দাম, কমেছে চালের
বরিশালের বাজারে বেড়েছে ডাল ও চিনির দাম। অপরিবর্তিত আছে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম। এছাড়া চালের দাম কেজিতে কমেছে দু-তিন টাকা।
শনিবার (২৮ আগস্ট) নগরীর বাংলাবাজার ও বটতলা কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি বেগুন ৬০-৭০ টাকা, আলু ২০, পটল ৪০, করলা ৪০, বরবটি ৫০-৬০, মুলা ৪০, চিচিঙ্গা ৪০, কাকরোল ৫০, ঝিঙে ৫০, মিষ্টিকুমড়া ৪০, পেঁপে ২০-৩০, ধনেপাতা ১৬০, শসা ৩০ ও গাজর ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অপরিবর্তিত আছে ভোজ্যতেলের দাম। প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন ১২৫-১৩০ টাকা এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৪৫-১৪৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ, আদা, রসুন, আটা-ময়দার দাম নতুন করে বাড়েনি। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা, আদা (দেশি) ১১০, আদা (চায়না) ১২০, প্যাকেট আটা ৩৫ এবং প্যাকেট ময়দা ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে বেড়েছে মসুর ডাল ও চিনির। কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা বেড়ে মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। চিনির দামও কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৮-৮০ টাকায়।
এদিকে চালের আমদানি শুল্ক কমানোর খবরের প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। মোটা ও সরু চালের দাম কেজিপ্রতি দু-তিন টাকা কমেছে। বাজারে সরু মিনিকেট চাল ৫৮-৬০ টাকা, নাজিরশাইল ৬৫-৭০, বিআর-২৮ চাল ৪৮-৫২, পাইজাম ৪৮, বিজয় ষোল ৫০ এবং মোটা গুটিস্বর্ণা চাল মানভেদে ৪২-৪৬ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
গত সপ্তাহের মতোই আছে ফার্মের মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগি ১২৫ টাকা, কক ১৪০ টাকা, সোনালি ২০০ এবং লেয়ার মুরগি ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৩৫ টাকায়।
এছাড়া কেজিপ্রতি ৫৮০-৬০০ টাকার মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে গরুর মাংস। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৭৫০-৮০০ টাকায়।
মাছের দামও প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে জেলার বাজারে। সরবরাহ কম থাকায় বাজারে ইলিশের দাম চড়া। আকারভেদে ইলিশের দাম হাঁকা হচ্ছে ১০০০-১২৫০ টাকা। এছাড়া, বড় শোল মাছ প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, চিংড়ি আকারভেদে ৬০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রুই ৩০০ টাকা কেজি, কাতলা ৩৫০-৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, কই ২০০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ টাকা, পোয়া মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাবাজারে বাজার করতে আসা আকিব হোসেন বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। বাজার করতে গিয়েই সব টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। এভাবে চললে শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ি চলে যেতে হবে।’
বাংলাবাজারের মুদি দোকানি মো. তাছলিম জানান, পাইকারি বাজারে মসুর ডাল ও চিনির দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সাইফ আমীন/এফআরএম/জিকেএস