ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রলার ডুবি: মরদেহ শনাক্তের পর হস্তান্তর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় যাত্রীবোঝাই ট্রলারের সঙ্গে বালুবোঝাই ট্রলারের সংঘর্ষের ঘটনায় রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত ১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিক তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এদিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চলছে মরদেহ শনাক্তের কাজ। সেখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) আবু সাঈদ, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত কুমার বৈদ্যসহ সরকারি কর্মকর্তারা রয়েছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন জানান, কিছু মরদেহ ঘটনাস্থলে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জেলা সদর হাসপাতালেও বেশকিছু মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করতে এখানে এসেছেন। শনাক্ত করে মরদেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, নৌকা ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশুর মরদেহ রয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। ঢাকা থেকে ডুবুরি খবর দেওয়া হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার লইছকা বিলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান জানিয়েছেন, নৌকা ডুবির ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া নিহত প্রত্যেক পরিবারকে মরদেহ দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এমআরএম