বিয়েবাড়িতে হামলা, শাড়ি-গয়না লুট
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৫ আগস্ট) রাতে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের বর্ষাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের দিঘলীয়া গ্রামের মামা বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার ওই এলাকার কালাম বিশ্বাসের মেয়ে লিমা খানমের (১৮) বিয়ের তারিখ ঠিক হয়। বুধবার গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান শুরুর আগে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মামুন বিশ্বাসের লোকজন একত্রিত হয়ে হামলা চালিয়ে কালাম বিশ্বাস, রব বিশ্বাস, দিদার বিশ্বাস, রসুল বিশ্বাস, ফেরদাউস বিশ্বাস, বাচ্চু বিশ্বাস, শামিম বিশ্বাস ও ফকা বিশ্বাসের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
লিমা খানমের বাবা কালাম বিশ্বাস বলেন, বাড়িতে আজ আমার মেয়ে লিমার বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। সে মোতাবেক আমরা সকল প্রস্তুতি সম্পন্নও করেছিলাম। বুধবার ছিল গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান শুরুর কিছুক্ষণ আগে মামুন শিকদারের লোকজন আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর ও অনুষ্ঠান পণ্ড করে দেন।
লিমার মা চম্পা বেগম বলেন, মামুন শিকদারের লোকজন আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে মেয়ের বিয়ের শাড়ি-স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছেন। খবর পেয়ে আমার ভাইয়েরা তাদের বাড়িতে নিয়ে মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেছেন।
লিমার মামা হায়েদার আলী বলেন, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠান না হলে আমার ভাগনি লিমার বিয়ে ভেঙে যেতো। তাই সবদিক চিন্তা করে আমরা বর পক্ষের সঙ্গে কথা বলে আমাদের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মামুনুর রশীদ সিকদার ভাঙচুর ও লুটপাটের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার কোনো লোকজন বদিউজ্জামান বিশ্বাসের লোকজনকে মারধর করেননি। বরং তার লোকজন রিপন বিশ্বাস নামে এক যুবককে কুপিয়ে আহত করেছেন। তিনি বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মেহেদী হাসান/আরএইচ/জিকেএস