১৩ বছরে পা দিলো সেই মণি-মুক্তা
জোড়া লাগা অবস্থায় জন্ম নিয়েছিল মণি-মুক্তা। পরে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের আলাদা করা হয়। সেই মণি-মুক্তা আজ ১৩ বছরে পা দিয়েছে। পালিত হলো ১২তম জন্মদিন। বাবা-মাসহ কেক কেটে জন্মদিন পালন করে মণি-মুক্তা।
জন্মদিন উপলক্ষে সন্তানদের জন্য মাটির ব্যাংকে জমিয়ে রাখা কয়েন দিয়ে নতুন জামা কিনে দিয়েছেন বাবা জয় প্রকাশ পাল।
জয় প্রকাশ বলেন, ‘মণি-মুক্তা দুজনেরই একই রঙের জামা পছন্দ। আলাদা রঙের জামা কিনলে কে কোনটা নেবে এটা নিয়ে ঝগড়া বাধে। তাই তাদের জন্য একই রঙের জামা কিনেছি।’
জন্মদিনে সবার কাছে আশীর্বাদ কামনা করেছে মণি-মুক্তা। দুই বোনই জানায়, তারা বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায়। নিজেদের মানবসেবায় নিয়োজিত করতে চায়।
মণি-মুক্তার বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ৩নং শতগ্রাম ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামে। তাদের বাবার নাম জয় প্রকাশ। ২০০৯ সালের আজকের এই দিনে তার স্ত্রী কৃষ্ণা রানী জোড়া লাগা অবস্থায় জন্ম দেন দুই মেয়েশিশুকে। জন্মের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের নাম রাখে মণি ও মুক্তা। জন্মের ছয় মাস পর ২০১০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মণি-মুক্তাকে আলাদা করা হয়।
মণি-মুক্তা এখন বাড়ি থেকে কিছু দূরে ঝাড়বাড়ী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে। মহামারির কারণে পরীক্ষা না হওয়ায় আর সবার মতো পিএসসি পরীক্ষায় অটোপাস পেয়েছে। জীবনের প্রথম বোর্ড পরীক্ষায় অটোপাস ভালো লাগেনি। তারা চেয়েছিল পরীক্ষা দিতে।
তারা জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে স্কুলে যেতে পারছে না, এ জন্য তাদের মন খারাপ। তবে মাঝে মধ্যে অ্যাসাইনমেন্টের জন্য স্কুলে যেতে হয়। এভাবেই এখন তাদের পড়ালেখা চলছে।
এমদাদুল হক মিলন/এসআর/জেআইএম