সুদের টাকা পরিশোধের পরও অতিরিক্ত অর্থ দাবি, প্রাণনাশের হুমকি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ০৯:২৭ এএম, ০৯ আগস্ট ২০২১

গাইবান্ধার সাঘাটায় সুদ-আসলসহ সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধের পরও স্বাক্ষর জাল ও ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে অতিরিক্ত টাকা সুদ দাবির অভিযোগ উঠেছে এক দাদন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ তুলেছেন উপজেলার জুমারবাড়ী ডা. আব্দুর রাজ্জাক শিশু নিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মো. রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, ঋণ ও সুদের ৬৫ লাখ টাকা পরিশোধ করার পরও স্বাক্ষর জাল ও ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ৯৩ লাখ টাকা সুদ দাবি করেছেন উপজেলার আমদিরপাড়া গ্রামের নবীর হোসেন ঝালুর ছেলে দাদন ব্যবসায়ী আশিদুল ইসলাম। এজন্য বিভিন্ন সময় তাকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

রোববার (৮ আগস্ট) বিকেলে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন রেজাউল করিম। এ সময় তিনি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, থানা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে এই ঘটনার প্রতিকার ও দাদন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।

রেজাউল করিম জানান, প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য উপজেলার আমদিরপাড়া গ্রামের নবীর হোসেন ঝালুর ছেলে দাদন ব্যবসায়ী আশিদুলের কাছ থেকে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে মাসিক কিস্তিতে ঋণ নেন তিনি। ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর স্কুলের স্টাফ ও একাধিক ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আশিদুলকে সুদ-আসলসহ লভ্যাংশের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধও করেন।

রেজাউল করিমের অভিযোগ, সুদের টাকা পরিশোধের পরেও দাদন ব্যবসায়ী আশিদুল কাগজপত্র জাল করে পুনরায় ৯৩ লাখ টাকা দাবি করেন। গত ১ জুন বিষয়টি নিয়ে জুমারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য আদালতে অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় আশিদুল ইসলামকে মূল কাগজপত্র জমা দিতে বলা হলেও তা না দিয়ে বিভিন্ন সময়ে তাকে মারধর করা হয় ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। এ বিষয়ে সাঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন বলে জানান রেজাউল করিম।

সংবাদ সম্মেলনে জুমারবাড়ি ডা. আব্দুর রাজ্জাক শিশু নিকেতনের প্রধান শিক্ষক শ্যামলী বেগম, সহকারী শিক্ষক মো. সাব্বির হোসেন সুমন, ম্যানেজার রনজিত কুমার, ক্যাশিয়ার মো. আব্দুল মমিনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

জাহিদ খন্দকার/এআরএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।