লক্ষ্মীপুরে আ.লীগ নেতাকে হত্যা, ২৪ ঘণ্টায়ও গ্রেফতার হয়নি কেউ
লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা হারুনুর রশিদ হারুনকে (৫২) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে অজ্ঞাত ৬-৭ জনকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেন নিহতের ছেলে আল আমিন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, বুধবার রাত ৮টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুনের উপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার দুই হাতের কব্জি, পা ও মাথায় গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। একই দিন রাত ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে কুমিল্লা বিশ্বরোড এলাকায় হারুনের মৃত্যু হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে বশিকপুরের বটেরপুকুর এলাকায় জানাযা তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি, সাবেক সভাপতি এম আলাউদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা শামছুল ইসলাম পাটোয়ারী, রাসেল মাহমুদ ভূঁইয়া মান্না, যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল মামুনসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের ছেলে আল আমিন বলেন, ‘আমার বাবাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার কী অপরাধ ছিল? বাবা সব সময় অন্যায়-জুলুমের প্রতিবাদ করতেন। আমরা এ হত্যার বিচার চাই। জড়িতদের ফাঁসি চাই।’
বশিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির হোসেন বলেন, ‘হারুন এলাকায় সন্ত্রাসরোধে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সবসময় সহযোগিতা করতেন। এর আগেও বিএনপির লাদেন মাসুম গ্রুপ তার ওপর হামলা চালিয়েছিল। সন্ত্রাসীরা আবার এলাকাতে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।’
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম ফজলুল হক বলেন, ‘হারুন হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের আমাদের একাধিক দল কাজ করছে। হত্যার রহস্যা উদ্ঘাটন ও জড়িতদের গ্রেফতারে আমরা সজাগ রয়েছি ‘
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, ‘সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপের কারণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অনেক বাহিনী প্রধানসহ সন্ত্রাসীরা নিহত হয়েছেন। কিন্তু তাদের সহযোগীরা এখনো গ্রেফতার হননি। বিষয়টি আমি আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় একাধিকবার উপস্থাপন করেছি। এসব অস্ত্র উদ্ধার না হলে আমাদের কারো বাঁচার নিশ্চয়তা নেই।
কাজল কায়েস/আরএইচ/জেআইএম