কুষ্টিয়ায় ১০ মিনিটের ব্যবধানে দুবার টিকা নিলেন এক ব্যক্তি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া
প্রকাশিত: ০৪:৪৪ এএম, ৩০ জুলাই ২০২১

কুষ্টিয়ায় ১০ মিনিটের ব্যবধানে একই ব্যক্তিকে দুবার করোনার টিকা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খোকসা উপজেলার বুজরুক মির্জাপুর গ্রামের বাশারুজ্জামান ( ৩৮) বৃহস্পতিবার দুপুরে টিকার কার্ড নিয়ে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্ধারিত কক্ষে টিকা নেয়ার জন্য যান। এ সময় কর্তব্যরত নার্স শারমিন তাকে টিকা দেন। এর ১০ মিনিট পর তিনি আবার ওই কক্ষে গেলে ওই একই নার্স শারমিন তাকে দ্বিতীয় দফায় টিকা দিয়ে দেন।

এ ব্যাপারে টিকা গ্রহণ কারী বাসারুজ্জামান জানান, তিনি নিয়ম জানেন না। কাগজ নিয়ে টিকা কেন্দ্রে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত নার্স তাকে জামা খুলতে বলেন। তিনি জামা খুললে নার্স তাকে টিকা দেন। না বুঝে দশ মিনিট পর আবার লাইনে দাঁড়ালে নার্স তাকে আবারও দ্বিতীয় দফায় টিকা দিয়ে দেন। পরে সন্দেহ হলে তিনি নার্সদের জিজ্ঞাসা করেন এই টিকা পরপর দুইবার নিতে হয় কি-না? তখনই বিষয়টি সবার নজরে আসে। এ সময় তিনি ভয় পেয়ে গেলে তাকে জানানো হয় এতে তার কোনো সমস্যা হবে না।

এ বিষয়ে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘এটা একটা ভুল। তিনি একবার টিকা নিয়েছেন অথচ নার্সদের জানাননি। এর জন্য তিনিই দায়ী। দুবার টিকা দেয়া হলেও তার কোনো সমস্যা হবে না।’

তবে স্থানীয়দের অনেকেই এ ঘটনার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরতদেরকেই দায়ী করেছেন। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে। কর্তৃপক্ষের এ ঘটনার দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মৌখিকভাবে কড়া সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে টিকা গ্রহণের জন্য অনেক নিরক্ষর মানুষ আসবে। তাদেরকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেয়া আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। এর ব্যত্যয় ঘটার কোনো সুযোগ নেই।’
আল মামুন সাগর/এসজে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।